প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

সরকারি আইন শৃংখলা বাহিনী পরিচয়ে মুখোশধারি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে ‘অপহৃত’ হয়ে দীর্ঘ দুই মাস পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে উদ্ধার হওয়া বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, কক্সবাজার জেলার বিএনপির প্রাণপুরুষ, এই অঞ্চলের মানুষের প্রিয় মুখ, সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের মামলার রায়কে সামনে রেখে এক দোয়া মাহফিল করেছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক রাসেল।

ভারতে অনুপ্রবেশের মিথ্যা অভিযোগে শিলংয়ের একটি আদালতে চলমান ওই মামলার রায় ঘোষণার সময় দেয়া হয়েছে আগামি ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। দীর্ঘ প্রায় চারবছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।

প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের মামলার রায়কে যেন মহান আল্লাহ সত্যের পক্ষেই দেন সেজনই এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন। এই দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন তারাবনিয়ার ছড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জয়নাল আবেদীন।

দোয়া মাহফিলে বলা হয়, সালাহউদ্দিন আহমদ যখন অজ্ঞাত অস্ত্রধারিদের হাতে ‘অপহৃত’ হচ্ছিলেন তখন তিনি ছিলেন বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের কঠিন সময়ে বিএনপির মুখপাত্র। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের সেই সময়ে রোষানলে পড়ে অনেকটা অজ্ঞাত স্থানে থেকেই সালাহউদ্দিন আহমদ বিবৃতি-বক্তৃতা দিয়ে দলের সবধরণের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই সরকারি বাহিনী পরিচয়ে একদল অস্ত্রধারি ঢাকার উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। দীর্ঘ দুই মাস পর ভারতের শিলং শহরের গলফ কোর্স মাঠে মধ্যরাতে ছেড়ে দেয়া হয়।

মাহফিলে আরও বলা হয়, দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় অজ্ঞাত স্থানে বন্দি রাখার পর শিলং শহরে যখন সালাহউদ্দিন আহমদকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছিল তখন তিনি ছিলেন অনেকটাই উদ্ভ্রান্তের মতো। সেই সালাহউদ্দিন আহমদ নিজেই মানুষের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে যান। তখন ভারতীয় পুলিশ তাঁকে আটক করে। অথচ অনুপ্রবেশের মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে আটক রেখে দীর্ঘ সময় ধরে মামলার প্রক্রিয়া শেষে সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়েছে।

মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়, মিথ্যা এই মামলার রায় যেন সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে না যায়। মাহফিলে আল্লাহর বিশেষ রহমত কামনা করা হয়।

দোয়া মাহফিলে বলা হয়, দেশপ্রেমিক নাগরিকের অন্যতম উদাহরণ সালাহউদ্দিন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুণছিলেন। অথচ মিথ্যা এই মামলার কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারছিলেন না। কক্সবাজার জেলাবাসিসহ পুরো দেশবাসি আশা করছেন, এবার সালাহউদ্দিন আহমদ নিজের দেশে ফিরে আসতে পারবেন।

জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাশেদুল হক রাসেলের উদ্যোগে করা এই দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রশিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল করিম, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, বিএনপি নেতা এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার রোমন, সাবেক সহ-সভাপতি মাসুমুল ইসলাম ও জাহেদুল ইসলাম রিটন, শহর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাবেক জেলা ছাত্রদল যুগ্ম সম্পাদক জাহেদুল হক, যুবদল নেতা মশিউর রহমান জুয়েল, কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইদু রহমান সিকদার, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল হক রেজা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রানা, জেলা ছাত্রদল সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, শহর ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুর হোসেন, সাবেক স্কুল বিষয়ক সম্পাদক জাফর আলম, কক্সবাজার আইন কলেজ ছাত্রদলের অর্থ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা সাঈদ আনোয়ার, কাউসার হাবিব তকি, সাইদুল ইসলাম ইমরান, আশহাবুল হক সোহাগ, মো. ফাহিম, মোহাম্মদ আনাস, নুরুল আজাদ, আরেফিন বাবু, মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ শাকিল, মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শফি আলম, রেজাউল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ শফি, জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম (২), আরফাত হোসেন, শাহরিয়ার কবির, জিহান উদ্দিন জিহান, বাপ্পী, রিফাত, জিহাদ প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। প্রায় সাড়ে চার বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর তা রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন আদালত।

সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, তিনি আশা করছেন ন্যায়বিচার পাবেন। বাংলাদেশের মানুষ জানে কী ঘটেছিল। আদালতে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি জানান, এর আগে চারবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এ পি মহন্তে বলেন, এ ধরনের মামলার কার্যক্রম শেষ হতে এত সময় লাগার বিষয়টি ‘বিরল’।

তিনি বলেন, তাঁর মক্কেল ন্যায়বিচার পাবেন। আদালতে সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ আদালতে বলেছেন, ২০১৫ সালে মার্চে তাঁকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাঁকে শিলংয়ে ফেলে যায়।