ডেস্ক নিউজ:
জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে এমন একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হকের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কে এক বৈঠকে তার কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেন ইউএসএআইডি’র পরিচালক মার্ক গ্রিন।

ভোটনিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন দুই কর্মকর্তা।

বৈঠক শেষে মার্কিন প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরিচালক বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অঙ্গীকার পূরণের মার্কিন প্রত্যাশার ওপর জোর দিয়েছেন যাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।’

বৈঠকে মার্ক গ্রিন বার্মায় জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের অব্যাহত সহমর্মিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বার্মায় শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের বিষয়টিও তুলে ধরেন মার্ক গ্রিন। তিনি বলেন, শরণার্থীদের জন্য জরুরি সহায়তা ও স্থানীয় জনগণের প্রচেষ্টা উভয়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা তথা একাত্মতা প্রদর্শন অব্যাহত থাকবে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে আরও ১৫৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিল দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে রোহিঙ্গা সংকটে ২০১৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন মানবিক সহায়তার পরিমাণ দাঁড়ালো ৩৮৯ মিলিয়ন ডলার।

২০১৬ সালে ঢাকার গুলশানে ইউএসএআইডি’র সাবেক কর্মী জুলহাস মান্নানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্ক গ্রিন।