ডেস্ক নিউজ:
সরকারবিরোধী বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন নিয়ে দল এবং জোটের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা বৈঠক করেছেন। বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান এবং নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপির সর্বোচ্চ ফোরামের এই বৈঠকে আগামী ২৯ তারিখের জনসভা, চেয়ারপারসন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।

দলের নেতারা মনে করছেন, বৃহত্তর ঐক্য গঠনে দল এবং জোটের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে তা সরকারের মদদেই হচ্ছে। সরকারের এই প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে ঐক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।

পাশাপাশি আগামী ২৯ তারিখে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে জনসভার ঘোষণা দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশের অনুমতি না মেলায় পরবর্তী করণীয় হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে আবারও দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও জনসভায় যুক্তফ্রন্ট এবং জামায়াত নেতাদের ইস্যুতেও আলোচনা হয়। তবে এ বিষয়ে ২০ দলের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার জন্য সরকারের ওপর কীভাবে আরও চাপ প্রয়োগ করা যায়- এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘২৯ তারিখের জনসভার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

এখনও জনসভার অনুমতি পাওয়া যায়নি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘ওই দিন তো আওয়ামী লীগ তাদের সভা প্রত্যাহার করেছে। ২৯ তারিখে আমাদের জনসভা হবে।’

বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কোথায় দ্বিধা দেখলেন।’

এ বিষয়ে কেউ কেউ স্পষ্ট নয়, বিএনপি জোটের নেতাদের এমন বক্তব্য দৃষ্টি আকর্ষণ করানো হলে তিনি বলেন, ‘ঐক্য নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই।’