মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

২০১৭ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্যে বিশেষ সেবাদান ও সর্বোচ্চ স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন করার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরুস্কৃত করার জন্য জাতি সংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর উখিয়াস্থ রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতীয়ভাবে মনোনীত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজ হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবুল হাসেম খান স্বাক্ষরিত গত ১৭সেপ্টেম্বর ১১৭৪ নং স্মারকে জারীকৃত এক পত্রে এ পুরুস্কারের কথা জানানো হয়েছে। একই পত্রে চট্টগ্রাম বিভাগে কুতুপালং এর আইওএম ক্লিনিক ছাড়াও দেশের অন্য ৭টি বিভাগের ৭টি পৃথক কমিউনিটি ক্লিনিককে পূরুস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আইওএম এর এই ক্লিনিক গত এক বছরে ১৪২ জন মায়ের স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিবিএইচসি’র এই পত্রের প্রেক্ষিতে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল মান্নান গত ২৩ সেপ্টেম্বর ৩০২৬ নং স্মারকে প্রেরিত এক ধন্যবাদ পত্রে কুতুপালং আইওএম’র কমিউনিটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুরুস্কারের জন্য মনোনীত কুতুপালং আইওএম কমিউনিটি ক্লিনিকের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাসনুভা সাদনীন টুসী জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের ২২৩০ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে এই ক্লিনিকের ডাক্তার, নার্স,ধাত্রী, আউটরিচ কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও স্থানীয় জনগনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমের কারণে মাতৃসেবা ও স্বাভাবিক প্রসব কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ট্রত্ব অর্জন করে জাতীয় পুরুস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। এই মনোনয়ন জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। ডাঃ তাসনুভা সাদনীন জানান, গত এক বছরে ৫৬১ জনের বেশী মা’কে নিরাপদ ও স্বাভাবিক প্রসবে সহায়তার পাশাপাশি ৩৫০০ টি প্রসব পূর্ববর্তী ও ৫০০ টি প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, এই ক্লিনিকে গুনগত সেবার সর্বোচ্চ মানের কারনে রোহিঙ্গা শরনার্থী ছাড়াও স্থানীয় জনসাধারনও নিয়মিত মাতৃত্ব ও প্রসবকালীন সেবা নিয়ে থাকে।