শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজারের সদরের ৬টি ইউনিয়নে অর্ধ শতাধিক সড়কে প্রায় ১শ কিলোমিটার বর্তমানে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর বিভিন্ন অংশে খানাখন্দকে পরিণত হওয়ায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেবল মাত্র স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় উপজেলার ৬ ইউনিয়নে বেশ কয়েক কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়েছে। বর্তমানে আরো ৩০-৩৫ কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার ও নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সরেজমিন প্রতিটি ইউনিয়নের সড়ক পরিদর্শন করে দেখা গেছে, যে সড়কগুলো চলাচলে অনুপযোগী ইসলাপুর ধর্মের ছড়া সড়ক, মাজার থেকে বাঁমনকাটা সড়ক, আরকান সড়কে থেকে দুদু মিয়া ঘোনা সড়ক, খাঁন ঘোনা সড়ক, জুমনগর ও কৈলাসের ঘোনার আংশিক, মাদ্রাসা সড়ক। পোকখালীর ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়াল খালী ইছাখালী থেকে সাদা ঘোনা সড়ক, পশ্চিম টেকপাড়া চৌধুরী বাজার (ডান্ডি বাজার) হয়ে মোহাম্মদুল হক মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত। পূর্ব পোকখালী ব্রীজ হতে নদীর পাড় দিয়ে মুসলিম বাজার সড়ক, গোমাতলী বাজার থেকে রাজঘাট সড়ক, চরপাড়া সড়ক, নাইক্ষ্যংডিয়া রমজান মিয়ার দোকান হয়ে নদীর পাড় দিয়ে ডি-পাড় রাইচমিল পর্যন্ত, পুর্ব গোমাতলী নতুন বাজার সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমদের বাড়ি সড়ক, মুসলিম বাজারের উত্তর পাশ দিয়ে রাইচমিল হয়ে শামশু ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত। দক্ষিণ নাইক্ষ্যংদিয়া ছফর আলম মেম্বারের বাড়ি সড়ক, এসটি দাখিল মাদ্রাসা সড়ক, মধ্যম পোকখালী মোক্তার মৌলভীর ব্রীজ হয়ে সাইপানির ছর সড়ক। বাংলা বাজার হয়ে সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজলের বাড়ি দিয়ে কাঠালিয়া কোম সড়ক, বাঁশখালীয়া পাড়া সড়ক। ইসলামাবাদ শাহ ফকির বাজার হয়ে পুর্ব গজালিয়া সড়ক, বাঁশঘাটা হয়ে হরিপুর আউলিয়াবাদ পর্যন্ত, আরকান সড়ক থেকে মোজাম্মেল মেম্বারের বাড়ি হয়ে এসটিএম রাজা মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত, সাজ্জাদের করাত কলের দক্ষিণ পাশ দিয়ে নদীর পাড় হয়ে হিন্দু পাড়া, রাবার ড্যাম-তুলাগাছ তলা পাহাশিয়াখালী দিয়ে টেকপাড়া নুর ছিদ্দিক চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত। পাঁহাশিয়া খালী বাজার হয়ে উত্তর পাড়া আশকর পাহাড় সড়ক, কবি নুরুল হুদা সড়ক হয়ে বোয়াল খালী সড়ক (যদিওবা এ সড়কটি ২২ সেপ্টেম্বর কার্পেটিং এর জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে)। মোজাহের আহমেদ এর বাড়ি হয়ে কোনা পাড়া সড়ক, নুরু কোম্পানির বাড়ি হয়ে সেলিম সওদাগরের বাড়ি পর্যন্ত, গোজাপীর থেকে ছৈয়দ নুর মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত, রাবারড্যাম সড়ক, পূর্ব সিকদার পাড়া সড়ক। ঈদগাঁওয়ের বংকিম বাজার থেকে গরু বাজার আরকান সড়ক পর্যন্ত আলমাছিয়া সড়ক (যে সড়কটি প্রধান সমস্যা), শিয়া পাড়া হয়ে পাল পাড়া সড়ক, কলেজ গেইট টু ভাদি তলা সড়কের আংশিক, নুর এ কমিউনিটি সেন্টার থেকে চাঁন্দের ঘোনা সড়ক, লাল শরিয়া পাড়া, ভুতিয়া পাড়ার শেষ সীমানা, মেহের ঘোনা স্বাস্থ্য ক্লিনিক হতে শিয়া পাড়া মরহুম কালু মিয়া সড়ক, কমরুর বাড়ি হতে বান্ডুর বাড়ি ও মেহেরঘোনা মোজাহের মিয়ার বাড়ী হতে কালুর বাড়ি পর্যন্ত। মহিলা মেম্বারের বাড়ির সড়ক, আলমাছিয়া হয়ে উত্তর মাইজ পাড়া সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ছৈয়দ আলমের বাড়ী পর্যন্ত, গরুর হালদার মাথা পর্যন্ত, বাঁশষ্টেশন হয়ে পুর্ব জাগির পাড়া সড়ক, ভোমরিয়া ঘোনা ফরেস্ট অফিস হয়ে নদীর পাড় দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের বাড়ি পর্যন্ত, শিয়া পাড়া হয়ে ভোমরিয়া ঘোনা ঈদগড় সড়ক পর্যন্ত। জালালাবাদ সওদাগর পাড়া হয়ে নদীর পাড় দিয়ে ছাতিপাড়া- লরাবাঘ পুর্ব মিয়াজী পাড়া পয়েন্ট হয়ে পুর্ব ফরাজী পাড়া মনজুর মৌলভীর দোকান পর্যন্ত, ঈদগাঁও বাজার টু ফরাজী পাড়া সড়ক (খানাখন্দে ভরা)। পালাকাটা হয়ে মোহনভিলা বাহারছড়া সড়ক, গোমগাছ তলা হয়ে গুলজারিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত, সওদাগর পাড়া মনজুর সওদাগরের বাড়ি সড়ক। চৌফলদন্ডীর নতুন মহাল চারা বটতলা থেকে পূর্ব পাড়া সড়ক, বটতলা থেকে সিকদার পাড়া স্লুইচ গেইট পর্যন্ত, বটতলা থেকে কালু ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত, দক্ষিণ পাড়া ডিসি সড়ক হয়তে বাশি কোম্পানির বাড়ি পর্যন্ত সাগর পাড় মসজিদ হয়তে ওয়াল্ড ভিশন পর্যন্ত এবং চৌফলদন্ডী হায়দার পাড়া ও নতুন মহাল এলাকায় ২টি কালভার্ট চরম ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা গেছে। উল্লেখিত সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। এসব সড়কের অধিকাংশ জায়গায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কের ভাংঙ্গা অংশে কাঁদা-পানি জমা হয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। মারা যাচ্ছে মানুষ। প্রধান ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর এ বেহাল অবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রতি বাধাগ্রস্থ করছে বলে মনে করছেন ওই সব এলাকার স্থানীয় লোকজন। ভাংঙ্গা রাস্তার কারণে পণ্য পরিবহনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজ সেবক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সূত্রে জানা গেছে, এ বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের প্রায় ১শ’ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ ও ৫০ কিলোমিটার সড়ক আংশিক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে প্রধান ও অভ্যন্তরীণ কিছু সড়কের খানাখন্দ মেরামত করা হলেও মাস যেতে না যেতেই তা আগের চেহারায় ফিরে যায়। তারা আরো জানায়, জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীন সড়ক পথে ভারী যানবাহন চলাচলের উপর বিধি -নিষেধ থাকা স্বত্বেও প্রতিদিন অবৈধ বালি ও পাহাড় কাটার মাটি পাচার এবং ইটভাটা গুলো যানচলালের ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সড়ক, কালভার্ট, সেতু। আবার কয়েকটি সড়কের টেন্ডার হলেও কাজ শুরু হয়নি। কাজ শুরু হলেও চলছে ধীরগতিতে। ঈদগাঁওয়ের বীর মুক্তিযুদ্ধ মরহুম এসটিএম রাজামিয়া সেতুর কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। যার কারনে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।