মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়িঃ
পবিত্র মহরম উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতেও জবাই করা হয় গরু,মহিষ। কিন্তু পবিত্র এই দিনে জেনে শুনে নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে গর্ভবতী একটি মহিষ জবাই করে অতি লোভী কসাইরা। স্থানীয় জহির মহিষটি কাটার সময় দেখতে পাই পেটে থেকে কসাইরা বাচ্চা বের করছে। এ সময় বাচ্চাটি নড়াচড়া করলে তারা ছুরি দিয়ে বাচ্চাটাকে মেরে পেলে।

এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে শুরু হয় তোলপাড়। গত শুক্রবার (২১ সেপ্টম্বর) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। গর্ভবতী মহিষ জবাইয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় গর্ভবতী জবাইকৃত মা মহিষের মাংস ও মৃত বাচ্চাসহ জব্দ করে মাটিতে পুতে পেলে প্রশাসন।

জানা যায ঘটনা জানাজানি হলে ইউএনও আসার আগে জবাইকৃত মা মহিষটি রেখে পালিয়ে যায় কসাই নিয়ামত উল্লাহ (৫৫), মো, সেলিম (৫৭), গফুর ওরফে গাল গফুর (৪৭)।

স্থানীয় তৈয়বসহ অনকে জানান দীর্ঘদিন ধরে এই সিন্ডিকেটটি উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের সাথে আতাত করে এই অপকর্ম করে যাচ্ছে। এছাড়া পাশ্ববর্তী বাজারের সাথে মাংসের দরদাম সামঞ্জস্যতা না রেখে অতিরিক্ত দামে মাংস বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জানা যায়,গাবাদিপশু জবাই করার অাগে প্রাণি সম্পদ  অধিদপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাবাদিপশু জবাই করতে হয়ে।
নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কসাইরা গবাদিপশু জবাই করে আসছে প্রতিনিয়ত কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন আরো জানায়, এই তিন সদস্য সিন্ডিকেট কসাইদের অমানবিক কর্মকান্ডে সাহস জোগাচ্ছে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী। এই সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন এলাকা থেকে দূর্বল ও রোগাক্রান্ত গরু, ছাগল ও মহিষ কম মূল্যে ক্রয় করে থাকে। পরে বাজারে এনে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের যোগ সাজশে জবাই করে চড়া দামে মাংস বিক্রি করে আসছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কসাই গফুর, সেলিম ও নিয়ামত উল্লাহ সিন্ডিকেট করে এই বাজারে প্রায়ই অসুস্থ ও চুরিকৃত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে আসছে নিয়মিত।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার সেন বলেন, গর্ভবতী গাভী জবাই করা আইনত: দন্ডনীয় অপরাধ। এমন কাজে বাছুরটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। অফিসের কোন কর্মকর্তা উক্ত কাজে জড়িত থাকলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।