নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এটি মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করবে। এই আইন সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করা হতে পারে।

সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-এর আয়োজনে গণতন্ত্র, গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবীতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিএফইউজে ঘোষিত কর্মসূচি শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়নের সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভে উপস্থিত থেকে সংহতি প্রকাশ করেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবর রহমান।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য চরম হুমকি মন্তব্য করে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর যুগ্ম-মহাসচিব জিএএম আশেকউল্লাহ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মমতাজ উদ্দিন বাহারী, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার ব্যুরোচীফ শামসুল হক শারেক, সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ, দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক আনছার হোসেন, জেইউসির সাংগঠনিক সম্পাদক সরওয়ার আলম, আবদুল মতিন চৌধুরী, ছৈয়দ আলম।

উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মোঃ নেজাম উদ্দিন, শাহীন মাহমুদ রাসেল, জসিম উদ্দিন, ওসমান গণি ইলি, মহি উদ্দিন মাহি, আবদুস সাত্তার।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ। সভা পরিচালনা করেন ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইমাম খাইর।

সমাবেশে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই এ আইন বাতিল করে গণমাধ্যমমুখি আইন প্রণয়নের দাবী করেন।

সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে।
আইন অনুযায়ী-
#ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জন শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করলে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।
#কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত যদি কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে তা গুপ্তচরবৃত্তি বলে গণ্য হবে এবং এজন্য ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
#ছবি বিকৃতি বা অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছেকৃতভাবে বা অজ্ঞাতসারে কারো ব্যক্তিগত ছবি তোলা, প্রকাশ করা বা বিকৃত করা বা ধারণ করার মতো অপরাধ করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও শিশু পর্নগ্রাফির অপরাধে সাত বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।