মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :

হাটহাজারী পৌর সদরে আইচক্রিম কারখানা গুলোতে তৈরি হচ্ছে ভেজাল শিশু খাদ্যসহ অস্বাস্থকর পরিবেশে আইচক্রিম তৈরি। সরেজমিন পৌর সদরের নিউ ফয়জিয়া আইসবারে দেখা যায়, ঘন চিনি, এসিড আর সবুজ রঙ, অ্যারারোট (যা জামা কাপড়ের মাড় হিসেবে ব্যবহার হয়), পাম অয়েল, চকলেট পাউডার, ফার্নিচারে ব্যবহার হয় এমন রঙ আইসক্রিমের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আইসক্রিম কারখানা গুলোতে। এ ছাড়া নানা ক্ষতিকর কেমিক্যালের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় আইসক্রিম।

হাটহাজারী উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জাহির বলেন, ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি আইসক্রিম কারখানা থেকে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তিনি হাটহাজারীতে যোগদানের পর হাটহাজারী পৌর সদরে কয়েকটি আইচক্রিম কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শিশু খাদ্য ভেজাল এর তর্থ্য প্রমান পায়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়েজিয়া আইসবারেসহ বেশ কয়েকটি কারখানা জরিমানা আদায় করা হয়। অনিয়ম ও ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরি অপরাধে প্রতিটা কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখেন। এর পরও থেমে নেই কারখানা গুলোতে বিভিন্ন অনিয়ম।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের আবাসিক সার্জন ও ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞরা এ প্রসঙ্গে বলেন,শিশুর মানসিক, বুদ্ধি বৃত্তিক বিকাশেরেে ত্র এসব ভেজাল পণ্য প্রধান প্রতিবন্ধক। যে খাবার আমরা খাই সেটা পেট থেকে লিভার হয়ে কিডনিতে প্রবেশ করে এবং তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ভেজাল খাবারের কারণে শরীরে লিভার ক্যান্সার, স্টমাক ক্যান্সার, ফুসফুস, কিডনিসহ অন্য অঙ্গগুলো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সম্প্রতি হাটহাজারীতে বেশ কয়েকটি আইসক্রিম তৈরির কারখানায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের চোখে ধরা পড়ে ক্ষতিকর কেমিক্যালের সংমিশ্রণে তৈরি আইসক্রিম। ভ্রাম্যমাণ আদালত জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে জরিমানা করেন। এ সব কারখানার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা ও কারখানা গুলো সিলগালা করতে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।