প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন-মানবতায় হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। মানবতার উদাহরণ সৃষ্টি করে মানব সেবা করে যেতে পারলে একজন প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়। আর সেই মানবতার মূর্ত প্রতীক হচ্ছেন যুগাবতার শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। তিনি আমাদের মানবতার ধর্ম শিখিয়ে গেছেন। তাই আমাদের তাঁর আর্দশে এগিয়ে চলা প্রয়োজন। তিনি মঙ্গলবার রাতে শহরের গোলদিঘীর পাড় চত্ত্বরে যুগাবতার যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩১তম শুভ আবির্ভাব মহোৎসবের ধর্মসভা ও গীতা, সত্যানুসরন এবং সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এতে উদ্বোধকের বক্তব্যে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের পৌত্র পূজ্যপাদ শ্রী বিনায়ক চক্রবর্তী বলেন-শ্রীশ্রীঠাকুরের আদর্শ অনুশীলনের মাধ্যমে চরিত্র গঠন করে সকলকে মানব সেবায় ব্রতী হতে হবে। তালনবমী উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মানস কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ধর্মসভায় ইষ্ট আলোচক ছিলেন সহ-প্রতি-ঋত্বিক দেবতা বৃতেন্দ্র কুমার মালাকার, সহ-প্রতি-ঋত্বিক দেবতা প্রথম বন্ধু চক্রবর্তী ও কক্সবাজার জেলা সৎসঙ্গ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সহ-প্রতি-ঋত্বিক দেবতা বিশ^নাথ বন্দোপ্যাথায়। ছোটন কান্তি দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত ধর্মসভায় সম্মাণিত অতিথি ছিলেন-কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, জেলা পুজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, পৌর কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ, মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর উদয় শংকর পাল মিঠু, ইনানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাজল কান্তি দে, জেলা সৎসঙ্গ মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ চন্দন কান্তি দাশ, প্রবীণ সৎসঙ্গী ডাঃ বাসুদেব চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে রাখেন তালনবমী উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শিমুল কান্তি পাল। এর আগে পবিত্র গীতা ও সত্যানুসরন থেকে পাঠ করা হয়। সবশেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।