জুবাইর উদ্দিন, চবিঃ
গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘দলিত ও জাতি -বর্ণ বৈষম্যঃ পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) স্বর্ণপদক লাভ করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ।গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম শহরস্থ একটি হোটেলে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সফিউল আলম, ব্যবসায় অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আওরঙ্গজেব, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ বি এম নোমান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শংকর লাল সাহা।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউজিসির পক্ষ থেকে উপাচার্যকে এই স্বর্ণপদক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা উপাচার্যের সুস্বাস্থ্য,দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে বলেন, উপাচার্য একজন জ্ঞান তাপস শিক্ষক, সমাজ বিজ্ঞানী, গবেষক, সৎ, দক্ষ ও যোগ্য প্রশাসক।তার সুদক্ষ নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একদিকে জ্ঞান -গবেষণার তীর্থ স্থানে পরিণত হয়েছে অন্যদিকে প্রশাসনিক অবকাঠামো তৈরীতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বক্তারা বলেন, উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় একদিনের জন্যও অনভিপ্রেত বন্ধ হয়নি।উপাচার্যের সুযোগ্য ও গতিশীল নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, এ প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী রচিত গ্রন্থটির সুপারিশমালা -নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে এ দলিত জনগোষ্ঠী দেশের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের জীবন -মান উন্নয়নে সক্ষম হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ অর্জন আমার একার নয় গোটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের।
তিনি তাঁর গ্রন্থ নিয়ে বলেন,আমার রচিত গ্রন্থে সমাজের বৃহত্তর -উচ্চ-মধ্য ও নিম্নবৃত্তের মনস্তাত্ত্বিক অভিধায়, বিভিন্ন তথ্য -উপাত্ত ও জরিপ কৌশলে বাংলাদেশেের হিন্দু -মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈষম্য গুলো জোরালো ভাবে সমর্থিত। অস্পৃশ্য, নিচু জাতি -বর্ণ, বহিঃ জাতি বর্ণ ইত্যাদি বিভিন্ন সামাজিক -সাংস্কৃতিক দ্যোতনাবাহী পেশাজীবিরা, যারা বিশেষভাবে ও কার্যকরভাবে বিধ্বস্ত, শোষিত, অত্যাচারিত, অপমানিত ও ক্ষতিগ্রস্ত তাদের বলেন সম্বোধন করা যায়।গ্রন্থটিতে প্রথমবারের মতো ‘দলিত’ প্রত্যয়টি বাংলাদেশে একাডেমিক জগতে উপস্থাপিত এবং ইতোপূ্র্বে অনাবিষ্কৃত মুসলিম দলিতদের নিয়ে গবেষণা -প্রকাশনা এটির অন্যগম বৈশিষ্ট্য। তিনি তার ভাষণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজকবৃন্দদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।