আপনি আমার সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন। বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন কলা কৌশলে আপনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অনেক জামাত শিবির আলবদর রাজাকার এবং বহু বসন্তের কোকিল কোকিলার অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

সুখ বসন্ত সুখের কালে কোকিলের আগমণ হয়। শীত,গ্রীষ্ম, বর্ষাকালে ওদের দেখা যায়না। ওরা আসে ফুলের মধু আহরণে, ফুলে মধু শুকিয়ে গেলে ওরা আর ঐ ফুলের দিকে ফিরে তাকায় না। আগামীতে আপনার বিপদের সময় ঐসব বসন্তের কোকিল কোকিলা, সুযোগ সন্ধানীরা কেউ আপনার সাথে থাকবে বলে আমার মনে হয়না।

তাই আগামী নির্বাচনের আগে ঐ সুযোগ সন্ধানীদের বের করে দিয়া নিজ দলকে আরও শক্তিশালী ও পরগাছা মুক্ত করুন।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রকাশ্যে প্রতিবাদকারী বঙ্গবীর আব্দুল কাদের ছিদ্দিকী ( বীর উত্তম), বিশ্বজিৎ নন্দী, মোঃ আলী জিন্নাহদের মতো বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত সৈনিকদের নিজ দলে ফিরিয়ে আনুন। অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা যদি নিজেরা কাঁদা ছুড়াছুড়ি না করে ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুনিয়ার কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবেনা।

মহান সৃষ্টিকর্তা না করুক আগামী নির্বাচনে যদি আপনার দল পরাজিত হয়। জামাত বিএনপি ঐক্যজোট ক্ষমতায় যায় তা হলে, সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করে সারা বাংলাদেশ কারবালা করে ফেলবে এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ২৪ ঘন্টায় নিপাত করে পাঠান পাঞ্জাবীর মতো গ্রামের পর গ্রাম ছারখার করে দিবে।

সেদিন শুধু বসন্তের কোকিল কোকিলা নয় আর কেহ রাস্তায় বের হবেনা।

সেই দিন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক যারা, ভক্ত যারা, তারা কিন্তু কেউ আপনার বিপদে ঘরে বসে থাকবেনা। প্রতিবাদীর মতো জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু, আমরা সবাই মুজিব সেনা,নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা, আওয়াজ দিয়ে আবার নেমে আসবে বাংলার সেই চিরচেনা রাজপথে।

বুলেট, বেয়নেট, তোপ-কামান, মেশিন গানের হামলা, জেল জুলুম, মিথ্যা মামলা সব অগ্রাহ্য করে বুলটের সামনে বুক পেতে দেবে।

৪৭বছর পরে আজ আবার বাংলার ভাগ্যকাশে দূর্যোগের ঘনঘটা, মহেশখালী তথা কক্সবাজারেও বসন্তের বহু কোকিল ভর করেছে দলে। সাদা কালো মেঘের আনাগোনা ঈশান কোণে মেঘ জমেছে কান্ডারী হুঁশিয়ার।

ডাঃ নুরুল আমিন জাহেদ

প্রবীণ রাজনীতিবিদ

মহেশখালী, কক্সবাজার।