শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নে স্থাপিত মেডিকেল সেন্টার এন্ড হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমধর্মী চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঈদগড় জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সংঘটিত ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইওয়াশ গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ঈদগড় মোহাম্মদ শরিফ পাড়ার সালাহ উদ্দিনের পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুকে ১১ সেপ্টেম্বর উক্ত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রেফার করে। এসময় শিশুটিকে ডাক্তার প্রদত্ত উল্লেখিত মেডিকেল সেন্টারের প্যাড়ে টি-সেফ (পিডি) ও এ্যালাট্রল (পিডি) ঔষুধগুলো নাকে ব্যাবহার করতে লিখে দেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে ঔষধগুলো শুধুমাত্র মুখে সেবন করার নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক দায়িত্ব পালনে চরম অযোগ্যের পরিচয় দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসকসহ সচেতন মহলের মাঝে নানা মন্তব্য ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে ব্যাবস্থাপত্র প্রদানকারী ডাঃ তারেক মাসুদের সাথে যোগাযোগের জন্য উক্ত হাসপাতালে যাওয়া হলে কৌশলে হাসপাতাল ত্যাগ করে। পরক্ষণে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছৈয়দুল হক গনমাধ্যমের সামনে আসে। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে ওইদিনের চিকিৎসক ডাঃ তারেক মাসুদ খন্ডকালিন চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

হাসপাতালটি শেয়ার হোল্ডার দাবিদার মনিরুল ইসলাম মনির নামের এক ব্যক্তি জানায় বিষয়টি নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে আলাপ করেছে। এবং নাকেও ঔষুধগুলো ব্যবহার করা যায় বলে তিনি জানান। ঔষধগুলো সেবন ও ব্যবহার বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁওর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘টি-সেফ’ ঔষুধটি মুখে সেবনের একটি এন্টিবায়োটিক এবং ‘এ্যালাট্রল’ একটি এন্টিহিস্টামিন। ঔষুধগুলো মুখে সেবনের জন্যে নির্দেশিত। এদিকে মুখে সেবনের ঔষুধ নাকে ব্যবহার লিখে দেওয়ায় ঈদগড় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতন্ডা ও মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি হয়। সচেতন লোকজন তদন্ত পূর্বক এঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।