ডেস্ক নিউজ:
সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জেলাখানার ভেতর আদালত স্থাপন মানুষ ভাল চোখে দেখছেনা। আদালত ও জেলখানা দুটোই আলাদা বিষয়। জেলখানায় আদালত অ্যাবসার্ড (হাস্যকর)। কোন কারণে জেলের ভেতর এত নাটক করা হচ্ছে? ৪০ বছর আগে সামরিক সময়ে কর্নেল তাহেরের বিচারে কারাগারের ভেতর আদালত স্থাপনও মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সময় যারা প্রশাসনে থাকবে তাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। তারা পক্ষপাতিত্ব করলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

বৃহস্পতিবার গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ ও আইনের শাসন শীর্ষক সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে তিনি আইনজীবী ও সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাব দেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা ও গোলাম রহমান ভূঁইয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন সমতিরি সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে যারা অপমানিত করছে তারা অসভ্য। যে ভাষায় প্রয়োগ করেছে এটা দেখে আমি লজ্জা পেয়েছি। যদি তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করতেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু সেটা না করে তার বিরুদ্ধে ভাষার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। তাকে অপমানিত করা হয়েছে। এগুলো ছিল অসাংবিধানিক ও আদালত অবমাননা। একদিন তাদের বিচার হবেই।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে যারা অপমানিত করছে তারা অসভ্য। যে ভাষায় প্রয়োগ করেছে এটা দেখে আমি লজ্জা পেয়েছি। যদি তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করতেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু সেটা না করে তার বিরুদ্ধে ভাষার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। তাকে অপমানিত করা হয়েছে। এগুলো ছিল অসাংবিধানিক ও আদালত অবমাননা। একদিন তাদের বিচার হবেই।

কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা ছিল শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। যারা কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছে তারা কোটা বাতিল চায়নি। ছেলেরা বলেছে আমরা কোটার সংস্কার চাই। আর নিরাপদ সসগক টচাই আন্দোলন অনেকের চোখ খুলে দিয়েছে। অনেক মন্ত্রী, পুলিশের গাড়িতে গাড়ির কাজপত্র ও লাইন্সে পাওয়া যায়নি। পাইকারী দরে আইন অমান্যের ঘটনা ধরা পড়েছে। এই আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গত ৪৬ বছরে দেখেছি, একটানা ১০ বছরের বেশি কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তাই এত কিছু করে কী হবে?

জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন নেই। কিন্তু তারা নিষ্ক্রিয় নয়। তারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন। তাদের বিশ্বাস ছিল পাকিস্তান ভাঙ্গা ঠিক হবে না।

যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, আমরা সরকারবিরোধী কোনো কাজ করছি না। আমরা সংবিধান রক্ষার জন্য কাজ করছি। আমরা সংবিধান সমুন্নত দেখতে চাই। যারা গণতন্ত্র মনা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারেবো। একটা শক্তিতে পরিণত হতে পারবো। আমরা কার্যকর গণতন্ত্র চাই। এটা তখন হবে যখন নাগরিক হিসেবে অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হব। গণতন্ত্রে নাগরিকদের ভ’মিকা গুরুত্বপূর্ণ। দলমত নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

আইনজীবীদের মধ্যে মনির হোসেন, আবেদ রাজা, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ওয়াসিল উদ্দিন বাবু, হুমায়ুন কবির মঞ্জু প্রমুখ প্রশ্ন করেন।