ডেস্ক নিউজ:
যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশ চরম স্বৈরাচার ও স্বেচ্ছাচারের কবলে পড়েছে। এই স্বেচ্ছাচারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণরাই পারবে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে একটি শান্তি সুখের বাংলাদেশ গড়তে।

বুধবার গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশ’র ‘রাজনৈতিক আন্দোলনে অহিংস কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বি. চৌধুরী বলেন, আমি তরুণদের নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। বিশ্বে যত বড় বড় কল্যাণকর কাজ হয়েছে, সব তরুণদের হাত ধরে। আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন সব তরুণদের হাত ধরে হয়েছে। বর্তমানেও কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছে তরুণরা, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করেছে ১৪/১৫ বছরের কিশোররা। স্কুলের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে যখন বলেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিজ’ তখন সারা বাংলাদেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তা তাকিয়ে দেখেছে। তাদের এ আন্দোলন ছিল সম্পূর্ণ অহিংস ও শান্তিপূর্ণ। তারপরও সরকার তাদের পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করেছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চরম স্বেচ্ছাচার ও স্বৈরাচারকে আর সহ্য করা যায় না। তরুণরা এগিয়ে আসলে এই স্বেচ্ছাচার সরকারের বিদায় কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রক্তপাত, জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা, গুম, গ্রেফতার, বুলেট, টিয়ার গ্যাসের সহিংস রাজনীতির স্থান দখল করে নিতে পারে অহিংস গণঅভ্যুত্থান।

প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুর রাশেদ, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রউফ মান্নান, প্রজন্ম বাংলাদেশের নতুন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কাজী মো. মাসুদ আলম প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউসুফ, মাহবুব আলী, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ।

যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ শুরু থেকেই অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। বর্তমান তরুণরা দুর্নীতি মুক্ত অন্যায় অবিচার মুক্ত একটি শান্তি সুখের বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এক নতুন যুদ্ধ শুরু করেছে। এ যুদ্ধে কোনো রক্তপাত ঘটবে না। তরুণরা কোনো রক্তপাত চায় না। তারা তাদের মেধা, শ্রম, ঘাম এবং দেশ প্রেম দিয়ে শান্তি সুখের নতুন বাংলাদেশে গঠন করবে। তাদের এ পথ চলায় সব সময় সঙ্গে থাকবো। আমি বলতে চাই তরুণ প্রজন্ম তোমরা এগিয়ে যাও। তোমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রধান মাহী বি চৌধুরীর একটি ভিডিও ক্লিপস প্রদর্শন করা হয়।