মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে(চট্টগ্রাম-৫)হাটহাজারীতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মধ্যে নির্বাচনে শক্তিশালী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন,১টি পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশেনের ২টি ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ও ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৫ নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন। জোট-মহাজোট থেকে হেভিওয়েট প্রার্থীরা এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারে। বর্তমান এ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি,পরিবেশ, বন ও জলবাযু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি মহাজোট থেকে আবার মনোনয়ন চাইবেন। অন্যাদিকে জোট থেকে কল্যাণ পাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম।

হাটহাজারী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভক্তি রেখা ক্রমেই গভীর হচ্ছে। এর প্রভাব প্রকটভাবে পড়েছে সকল অঙ্গ সংগঠনে। বিএনপির নিশকৃয়তায় মাঠে এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ। নিজেদের মধ্যে মারামারি, সংঘাত। আওয়ামী লীগ যেন একের ভেতরে অনেক। এতে খুবই বিরক্ত দলটির তৃণমূলের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা।

তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিতে রয়েছে কোন্দল। পছন্দের লোকজন নিয়ে কমিটি করা নিয়েই এই কোন্দল। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের এ কোন্দলকে কাজে লাগাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে বিএনপি। বর্তমান মহাজোটের এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবাযু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকারদলীয় একটি পক্ষ। শুরু থেকেই বর্তমান এমপির বিরোধীতা করে আসছে ওই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এবারও তারা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মনোনয়ন ঠেকাতে জোরালো ভাবে মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যারা বিগত সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে না থেকেও এখন এমপি প্রার্থী হওয়ার জন্য তদবির করছেন, তারা যেন কোনভাবেই মনোনয়ন না পায় সেই জন্য দলীয় প্রধান ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তৃণমুল নেতার্কর্মীরা।