সংবাদদাতা:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজারে প্রভাবশালীদের আস্করায় ইসলাম মার্কেটের তৃতীয় তলায় রাত-দিন চলছে জমজমাট জুয়া খেলা। এর আগে একাধিক অভিযোগের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে চলামান জুয়াখেলা বন্ধ করা হয়। কিন্তু অভিযানের পরপরই উক্ত স্থানে আবারো জুয়া খেলা শুরু হয়েছে। থানা পুলিশ ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়ার গ্রামের শাহজানের সঙ্গে আতাঁত করে প্রতিরাতে নিদিষ্ট পরিমানের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শাহজানের নেতৃত্বে প্রত্যেক সপ্তাহে আনুমানিক ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার অবৈধ ব্যবসা হয় এ আসরে। এই অবৈধ খেলায় অংশগ্রহণ করেন একাধিক ব্যক্তি। কোনো কোনো দিন এই জুয়ার আসর নিয়ে এলাকায় বিবাদও সৃষ্টি করে জুয়াড়িরা। এ কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অভিযোগ এই অবৈধ ব্যবসার জন্য অনেক পরিবার আজ বিপর্যয়ের মুখে।
সরজমিন অনুসন্ধান ও পুলিশের একাধিক সোর্স জানান, কয়েক মাস ধরে খুটাখালী বাজার এলাকায় জুয়া খেলা শুরু হয়। জুয়া খেলার বিষয় নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া জুয়া খেলা বন্ধের দাবীতে ইউএনও, পুলিশ সুপার ও উর্ধবতন কর্তৃপক্ষ বরাবর বিভিন্ন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে জুয়া খেলা বন্ধ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের একাধিক ব্যাবসায়ী জানান, দুই একদিন জুয়া খেলা বন্ধ থাকলেও তা আবারও জমজমাট আকারে শুরু করা হয়েছে। জুয়া খেলার স্থান হলো ইসলাম মার্কেটস্থ আবদুর রহমানের মালিকানাধিন তৃতীয় তলা। এ জুয়া খেলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহজান নামের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন জানান, জুয়া খেলা বন্ধে পুলিশ সুপারের চাপ ও থানা পুলিশের একটি টিম বাজারে টহল অব্যাহত থাকায় পূর্বের জুয়া খেলার স্থান পরিবর্তন করে নতুন জায়গায় জুয়া খেলা চালানো হচ্ছে। তবে থানা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা ও নিদিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা চালানো হচ্ছে বলেও দাবী করেন তারা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, খুটাখালী বাজারে বর্তমানে ওপেন জুয়া নেই। তবে চুরি করে কোথাও জুয়া খেলা চলতে পারে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।