এম. বশির উল্লাহ, মহেশখালী:

নিজের পরিবারের দারিদ্র দুর করতে প্রবাসে যাওয়ার জন্য বহু কস্টে ভিসা ক্রয় করে বিদেশ পাড়ি দেয় বড় মহেশখালীর জাগিরাঘোনার আনোয়ার পাশার পুত্র ছালামত উল্লাহ। কিন্তু তার ভ্যাগের কি নির্মম পরিহাস ভিসার দালালী করা এখই এলাকার বাদশা মিয়ার দুই পুত্র রুবেল ও সালামের  কপ্পরে পড়ে ৪ মাসের মাথায় তার স্বপ্নের পরিসমাপ্তি ঘটে। ছালামত উল্লাহ নিজে খুন হওয়ার পর তার পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুভোর্গ। মিথ্যা মামলাই তার ভাই এনায়েত উল্লাহ জেল হাজতে রয়েছে বর্তমানে।

একটি পরিবারকে নিঃষ করতে সু কৌশলে এই প্রতারনা করেছে বাদশা মিয়ার পুত্ররা। ভিসা দেয়ার সময় বিভিন্ন বাহনা ও মিথ্যা কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি ভিসায় ছালামত বিদেশ গিয়ে ২ মাসের মাথায় ভিসাটির মেয়াৎ এবং তার কাজের ধরন পাল্টিয়ে দেয় প্রতারক চক্রের রুবেল গংরা।
তার সুত্র ধরে ছালামত উল্লাহ র  পরিবার রুবেলের পরিবারকে সঠিক ভিসা কেনো দেওয়া হয়নি মর্মে চাপ প্রয়োগ করলে এরই মধ্যে তারা নতুন কৌশল করে একটি মারামারির বিষয় সৃষ্টি করে থানায় একটি মিথ্যা  মামলা দায়ে  করে। এতে  ছালামতের ভাই এনায়েত উল্লাহকে জেলে পাটায়।
মরহুম ছালামত উল্লাহ মা মমতাজ বেগম জানান, মহেশখালী বাসী তথা দেশবাসীর কাছে বিচার চাই আমার ছেলে এত টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়ে লাশ হয়ে ফেরার পরও কি আমরা সঠিক বিচার টা পাবোনা?

কেনো আমাদের সঠিক ভিসা দেয়া হয়নি, কেনো আমার ছেলেকে লাশ হয়ে ফিরতে হলো, আমার আরেক ছেলেকে জেলে যেতে হলো,  আমরা এই প্রতারক চক্রের সুস্টু বিচার ও  ভিসার বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রসাসনের কাছে আকুল আবেদন তদন্ত পুর্বক আমাদের ক্ষতি পুরনের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করে  সমাধান করে দেওয়া হউক।

ওমানে নিহত হওয়া ছালামত উল্লাহ ভাই শহিদুল্লাহ জানান, রুবেল ও সালাম দীর্ঘদিন আমার ভাইকে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে আমার কাজ থেকে মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেয়, পরে আমার ভাইকে একটি ফ্রি ভিসা দেয়। কিন্তু ছালামত বিদেশ গিয়ে সাগরের শ্রমিকের কাজ দেয়।
এবিষয়টি নিয়ে রুবেল ও তার পরিবারকে অবহিত করলে তারা আমাদের উল্টো হুমকি দেয় যে যে পরিমান টাকা সেই পরিমান ভিসা দেয়া হইছে। গত ২৪ জুলাই আমার ভাই

কে পরিকল্পিত ভাবে ওমানে হত্যা করার পরও তারা থেমে থাকেনি। আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র মামলা দেয়।
আমি আমার ভাইয়ের ভিসার ক্ষতি পুরনের টাকা বিষয়টি তদন্ত পুবর্ক আইনগত ভাবে উদ্ধারের নিমিত্বে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ওই চক্রটি আরো একাদিক জনকে প্রতারনার মাধ্যমে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়ে লাখ লাখ টাকা।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।