আরোজ ফারুক:
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কোচ আনোয়ার হোসেন। সাবেক এই ক্রিকেটার ক্রিকেট কোটায় নিয়োগ পেয়েছিলেন রাষ্ট্রয়াত্ত্ব এই ব্যাংকটিতে। কিন্তু, ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক কোন টুর্নামেন্ট না থাকায় শেষ পর্যন্ত এ ক্রিকেট কোটা বন্ধ করে দেয়। একই গল্প অন্যান্য খেলার বেলায়ও। যে কারণে পেশাদার ক্রিকেটাররা অবসরে গেলে তাঁদের ভবিষ্যত কিংবা পরবর্তী পেশাগত জীবন নিয়ে তৈরী হয় অনিশ্চয়তা। সে ভাবনা থেকেই শুধুমাত্র ব্যাংকিং পেশায় সরাসরি সম্পৃক্তদের অংশগ্রহণে অক্টোবরে মাঠে গড়াচ্ছে ব্যাংকার্স কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।

ব্যাংকিং পেশার একঘিয়েমি জীবন থেকে এক দন্ড স্বস্তি দেয়ার সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সৌহার্দ বাড়াতে ব্যতিক্রমি এ উদ্যোগ নিয়েছে ইমেগো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২ ক্রিকেট মাঠ ও গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে হবে ১২ দলের অংশগ্রহণে টি-টোয়েন্টি ফরমেটের এ টুর্নামেন্ট। এরই মধ্যে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক লিমিটেড-সহ দেশের বেশ ক’টি শীর্ষ ব্যাংক। টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা পরিষদে আছে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও ব্যাংকার ইশতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন, ব্যাংকার সাদউল্লাহ।

রাজধানীর একটি হোটেলে এ নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ব্যাংকার্স কাপ ক্রিকেট ২০১৮’তে অংশ নেয়া ব্যাংক প্রতিনিধি, উপদেষ্টা কমিটি ও টুর্নামেন্ট আয়োজকদের মধ্যে। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘ব্যাংকার্স কাপ ক্রিকেটের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের ভবিষ্যত জীবন সুরক্ষিত হবে। ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে গেলে যে পরবর্তী পেশা নিয়ে আর অনিশ্চয়তায় থাকতে হবে না।‘ সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও ব্যাংকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সার্ভিসেস দলগুলোর অংশগ্রহণে নানা ধরনের স্পোর্টস ইভেন্ট হয়। পেশাদার ক্রীড়াবিদদের জন্য ভবিষ্যত সুরক্ষিত থাকে। বাংলাদেশে আগে বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের টুর্নামেন্ট হয়েছে। কিন্তু, এখন থেকে নিয়মিত এ টুর্নামেন্ট আমরা আয়োজন করতে চাই।‘

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নিয়ামুর রশিদ রাহুল, মাহমুদুল হাসান রানা (বিকাশ রঞ্জন দাস), তারেক আজিজ-সহ প্রথম শ্রেণী ও প্রিমিয়ার লিগের অনেক সাবেক ক্রিকেটারই কাজ করছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংকার্স কাপ ক্রিকেটের মাধ্যমে আবারও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পেরে সবাই দারুন উচ্ছ্বসিত। নিয়ামুর রশিদ রাহুল বলেন, ‘একটা পেশাদার কাঠামোর মধ্য দিয়ে এ টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে। আমরা যারা ব্যাংকিং পেশায় আছি, সবার সঙ্গে হৃদ্যতা বাড়ানোর উপলক্ষ্য হবে এ টুর্নামেন্ট।‘ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলা, ‘বর্তমানে ইস্টার্ন ব্যাংকে কর্মরত শাফায়েত কিরণ জানান, আমরা সবাই আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছি। এরই মধ্যে দলের সবাই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দলগত সমঝোতা তৈরীতে এ টুর্নামেন্ট ভূমিকা রাখবে। যা আমাদের পেশাদারী জীবনের উৎকর্ষ বাড়াবে।‘

আগামী ১২ অক্টোবর ২০১৮ (শুক্রবার) পর্দা উঠবে ব্যাংকার্স কাপ ক্রিকেটের এবারকার আসরের। গ্রুপ পর্ব হবে সিঙ্গাল লেগে। ২ গ্রুপের শীর্ষ ২টি দল খেলবে সেমিফাইনাল। ১৬ নভেম্বর গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে হবে শিরোপা নির্ধারনী ফাইনাল।