হালিম মোঃ জয়
অতীত একটা আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ,যা শুধু নিজে পড়া যায়। পড়ে কখনো কাঁদতে হয়, কখনো হাসতে হয়, আবার কখনো বা লজ্জা পেতে হয়। কিছু অতীত-তো এমন আছে,যা কেবল-ই নিজের ভেতর লালান করা হয়। শত চেষ্টা করে -ও অন্য কারো কাছে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। এই চির গোপন অতীতগুলো-ই লালনকর্তাকে কুড়ে কুড়ে খায়,
পথ চলতে সহায়তা করে,আত্মার শক্তিকে আরো সানিত করে, লক্ষ পানে ছুটে চলতে উৎসাহিত করে,স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর করে তোলে, সপ্ন দেখতে শেখায়, সবচেয়ে বড় কথা হল অন্য সবার থেকে লালনকারিকে আলাদা করে রাখে। অতীত অবিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে,শিক্ষাকে বাস্তবতায় পরিনত করতে বাধ্য করে।
জীবনের কোন একটা সময়ে এসে সবার মনে-ই প্রশ্ন জাগে,আসলে জীবনটা কি? তখন কিন্তু উত্তর একটা-ই, আমার অতীত-ই হল আমার জীবন। যদি-ও অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ এই নিয়েই এক একজন মানুষের জীবন।একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে বুঝবেন যে,বর্তমানটা কত ছোট। জীবনের প্রতি মুহূর্ত-ই এক পলকে অতীত হয়ে যাচ্ছে।। সেই সূত্র ধরে বলতে পারি অতীত আপন ক্ষমতা বলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে প্রতি নিঃশ্বাসের সাথে সাথে গ্রাস করে নিচ্ছে। অতীতের কাছে প্রতিনিয়ত পরাজিত হচ্ছে ভবিষ্যৎ এবং অতিক্ষুদ্র বর্তমান।
অতিতকে ভুলে থাকার প্রচেস্টা অনেকে করে থাকেন। জানি না ভুলতে পারেন কি না। ক্ষণিকের জন্য ভুলে থাকা গেলে-ও মুছে ফেলা সম্ভব না। কোন না কোন ভাবে অতীত সামনে এসে আপনাকে ডাকবে। চোখ বন্ধ করে তাকে একটু ভাবতে বলবে। তার এঁকেবেঁকে ছুটে চলা পথ ধরে আপনাকে ঘুরে আসতে-ই হবে। এভাবে-ই অতীত একদিন হয়ে উঠবে আপন মহিমায় কালের জলন্ত সাক্ষি অথবা ইতিহাসের অংশ। উপমা হয়ে ঘুরেফিরবে মানুষের মুখে মুখে।
ফেলে আসা দিন গুলো যদি কখনো দেখতে ইচ্ছা হয়,তাহলে একমাত্র অতীত-ই সহযগিতার হাত বাড়াতে পারে । ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে পারে আদর মাখা শিশুকাল,পরিচিত খেলার মাঠে,শৈশবের দুরন্তপনা,যৌবনের উচ্ছালতা । ইচ্ছা হলে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর ছবি দেখা যেতে পারে অতীতের বিশাল এ্যালবামে। এর জন্য আপনাকে এ্যালবামের পাতা উলটানোর কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ার হাজার হাজার বছর আগে অতীত তার সকল সিস্টেমকে ডিজিটাল করে রেখেছে। এই বলে কিন্তু অতীতকে ডিজিটাল এনালগ রাজনীতিতে জড়ানো ঠিক  হবে না।