ডেস্ক নিউজ:
‘অ্যাসেসিং দ্য চ্যালেঞ্জেস অব এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন ফুড, এনার্জি অ্যান্ড ইনইক্যুয়েলিটি’বক্তব্য রাখছেন প্রফেসর জোমো কউমি সুন্দরামদেশে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়লেও পুষ্টিহীনতা কমেনি বলে মনে করেন মালয়েশিয়ান অর্থনীতিবিদ প্রফেসর জোমো কউমি সুন্দরাম। তিনি বলেন, ‘সরকারের নানামুখী উদ্যোগে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করলেও পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। খাদ্য নিরাপত্তার অভাব, জ্বালানির নিশ্চয়তা না থাকা ও অর্থনৈতিক অসমতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।’ শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অ্যাসেসিং দ্য চ্যালেঞ্জেস অব এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন ফুড, এনার্জি অ্যান্ড ইনইক্যুয়েলিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রফেসর জোমো কউমি সুন্দরাম বলেন, ‘বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমলেও ক্ষুধার্ত মানুষ কমছে না, বরং বাড়ছে। এক্ষেত্রে খাদ্য উৎপাদন বাড়ালেই ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্য কমে না। দারিদ্র্য ও ক্ষুধা কমাতে হলে খাদ্যের সুষমবণ্টন ও মান নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে।’

বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বেকারত্ব কেন কমছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে জোমো বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ে। বেকারত্ব কমে। কিন্তু বাংলাদেশে কেন এমন হচ্ছে, সেটি বলতে পারবো না।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, সম্পদ অন্যদিকে বিনিয়োগ হচ্ছে। এই মুহূর্তে উন্নত দেশগুলোর সম্পদ যাচ্ছে মাইগ্রেশন সমস্যা সমাধানে। কিন্তু পুষ্টির ক্ষেত্রে এখনও প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থায়ন হচ্ছে না।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘চীন বর্তমানে আমেরিকায় অনেক বড় বিনিয়োগ করছে। চীন চাইলে আমাদের মতো দেশগুলোতে বিভিন্ন খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারে। তবে চীনের বিনিযোগ বাড়াতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর নেতৃত্বকে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এতে আরও বক্তব্য রাখেনসিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।