নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারকে পর্যটন রাজধানী ঘোষণার দাবি যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান। শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার- টুয়াক’র দেড় দশক পূর্তি ও কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মুজিবুর রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নৌ পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারকে পর্যটন রাজধানী ঘোষণার দাবি যৌক্তিক। চট্টগ্রাম যদি বাণিজ্যিক রাজধানী হতে পারে তাহলে কক্সবাজারকে পর্যটন রাজধানী ঘোষণার দাবি সঠিক। এই দাবির পক্ষে আমি একমত। এই প্রস্তাব আপনারা উত্থাপন করবেন, আমিও সমর্থন করবো। আমার ভাই আশেক উল্লাহ রফিক দাবিটি সংসদের উত্থান করুন। তার মাধ্যমে পর্যটনকে আরো প্রসারিত করে শুধু দেশীয় পর্যটক নয় বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে হবে। তাহলেই আমার দেশে পর্যটন শিল্প আরো প্রসারিত হবে।’

এসময় শাহাজান খান আরো বলেন, ‘২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভরাট এবং দখল হয়ে যাওয়া নদী উদ্ধারে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক নদী খনন করা হয়েছে। মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ রুটের গোরকঘাটা ও বাঁকখালী নদী খনন করা হয়েছে। মহেশখালীতে মানুষ এখন নির্বিঘেœ যাতায়াত করতে পারছে। আরো সুবিধার জন্য অতি শিগগিরই একটি ফেরি দেয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার শতবছরের জরাজীর্ণ লাইট হাউসটিকে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিকভাবে। শুধু লাইটহাউস নয় সেখানে যে সী-বীচ আছে সেখানে পর্যটকদের জন্য বাংলোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে পর্যটকেরা বেড়াতে যাবে সেখানে।’
তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশ একদিন পর্যটনের দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিলো বিভিন্ন উন্নয়নের কারণে পর্যটন প্রসারিত হচ্ছে। উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং কক্সবাজারকেও সেটা করা হচ্ছে।’ এসময় টুয়াক নেতৃবৃন্দকে কক্সবাজারের উন্নয়নের পরিকল্পনাগুলো লিখিত আকারে নিয়ে ঢাকায় প্রস্তাব করার কথা বলেন তিনি। এতে তিনি সহযোগিতা করবেন বলে আশ^স্ত করেন।

টুয়াকের সভাপতি তোফায়েল আহামেদের সভাপতি অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (স্থলবন্দর চেয়ারম্যান) তপন কুমার চক্রবর্তী, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রী মহোদয়ের পিএস) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম সারওয়ার কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সংবর্ধিত অতিথি মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহজাহান, সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম এবং ফেডারেশন অব কক্সবাজার ট্যুরিজম সার্ভিসেস এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুর রহমানসহ প্রমূখ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টুয়াকের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম. এ হাসিব বাদল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এম কিবরিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল এবং টুয়াক সেক্রেটারী আসাফ উদ্ দৌলা (আশেক)।