সাইফুল ইসলাম বাবুল :

মুঠোফোনে পরিচয়, অত:পর গভীর মন দেয়া নেওয়া। প্রেমের টানে মুসলিম প্রবাসী যুবককে নিয়ে পালাল হিন্দু রমনী। অবাক প্রেম। ভালবাসা ও প্রেমপ্রীতি মানে না জাতকুল। কিংবা বয়স-আচার-আচারন ও রীতি। সনাতন ধর্মালম্বীর এ নারী ও মুসলিম যুবকের মধ্যে মুঠোফোনে সম্পর্ক হয়। সেটিকে বাস্তব রুপ দিতে তারা স্বপ্ন বুনেন সুখের নীড় তৈরী করবে। এতে করে এ নারী স্বামীর সংসার কচিকাঁচার গর্বের দুটি অবুঝ শিশুকে ফেলে সটকে পড়ে। মুসলিম যুবক প্রবাসী।

তবে জাতকুল ও ধর্ম তাকে থেমে রাখে নি। মেয়ের বয়স ও ছেলের বয়স সমান সমান। মেয়েটি বিবাহিত। কিন্তু ছেলে অবিবাহিত। কি হয়েছে বিবাহ আর বিবাহ হয়নি? সেটিকে পাত্তাও দেয়নি এ যুবক ও যুবতী। স্বামীর সংসার ছেড়ে মায়া মমতা ও বন্ধন ছেড়ে পালিয়ে যায় মুসলিম ছেলেকে নিয়ে। স্বামী নির্বাক। প্রবাসে স্ত্রী উধাও হয়েছেন সেটি জেনে গেছেন। তবু চাই সন্তানদের মাকে ফিরিয়ে পেতে। প্রানপন প্রচেষ্টা চলছে। তবে প্রেমিক দম্পতি উধাও। নেই এ দুজনের সন্ধান। চলছে খোঁজাখোজি। এক সপ্তাহ আগে থেকে এ দুইজনের নেই সন্ধান। ছেলে ভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তবে প্রেম প্রীতির এ সম্পর্ক প্রতারনার পূর্বাভাস পরিলক্ষিত হয়েছে।

হিন্দুর এ রমনী পালানোর সময় স্বামীর প্রচুর নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। সুত্র জানায়, নগদ ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও বিপুল স্বর্ণালংকার সঙ্গে নিয়ে যায়। দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায়, এ সব ওই ছেলে কুক্ষিগত করে মেয়েটির সাথে বর্তমানে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দু এ রমনীর নাম লক্ষী দে(৩২)। তার স্বামীর নাম দিলীপ কান্তি দে। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অপরদিকে লক্ষী দের পিতার বাড়ি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বাগানপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডে। স্বামী দিলীপ কান্তি দে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনে থাকেন।

১০ বছর পূর্বে দিলীপ কান্তি দে ও লক্ষী দের এর মধ্যে প্রনয় হয়েছে। সনাতন ধর্মের বিধানমতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে এ দম্পতির ১ ছেলে ও ১ কনে সন্তান রয়েছে। ১ম সন্তানের নাম রাহুল(০৮), ২য় সন্তান মানসী দে(০৪)। মার খোঁজে দুই সন্তান প্রায় পাগল। গর্বধারনী মায়ের সন্ধান মিলছে না। এ দিকে লক্ষী দে নিখোঁজ রয়েছে এ সম্পর্ক বিষয়ে ওই নারীর আপন সহোদর চকরিয়া থানায় সাধারন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেছেন। লক্ষী দের ভাই নারায়ন চন্দ্র দে বাদী হয়ে সেটি চকরিয়া থানায় ৫ সেপ্টেম্বর দায়ের করে। যার জিডি নং-২৫২/১৮। জিডি সুত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে লক্ষী দে স্বামীর সংসার থেকে পালায়।

ওই সময় থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত ওই নারী নিখোঁজ রয়েছেন। জিডিতে বাদী উল্লেখ করেছেন তার বোন সনাতন ধর্মালম্বী। বিগত ১০ বছর আগে দিলীপ কান্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মুসলিম এক ছেলের সাথে মুঠোফোনে তার প্রায় সময় আলাপ হত। এ সুবাধে মুসলিম ওই প্রবাসী ছেলে ও লক্ষী দে পরকীয়ায় আসক্ত হয়। ওই দিন লক্ষী দে সবার অজান্তে স্বামীর সংসার ত্যাগ করে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। ভগ্নিপতি বাহরাইন প্রবাসী। মুঠোফোনে যোগাযোগ হয়েছে। স্ত্রী নিখোঁজ থাকায় আইনী সহায়তা নিতে ভাইকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে বাদী উল্লেখ করেছেন। ভাই নারায়ন চন্দ্র দে জানায়, আমার বোনকে ফুঁসলিয়ে মুসলিম এ ছেলে নিয়ে এসেছে। ছেলেটির নাম আলমগীর(২৮)। জেনেছি ওই ছেলে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী গ্রামের মনির আহমদের ছেলে। সম্প্রতি সে বিদেশ থেকে বাড়িতে পৌছে। এরপর প্রেমের সুত্র ধরে আমার বোনকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়।