ডেস্ক নিউজ:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, দেশে সাক্ষরতার বর্তমান হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ; যা গতবছর ছিল ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ। সরকারের সাক্ষরতার হার শতভাগ অর্জনের অঙ্গীকার থাকলেও তা অর্জিত হয়নি, তবে বিপুল নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সামনে রেখে আজ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব জানান।

মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। নিরক্ষর ব্যক্তি ৩ কোটি ২৫ লাখ। আর বিদ্যালয়-বহির্ভূত ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ১০ লাখ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষরদের সাক্ষরতা জ্ঞান এবং বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হবে। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনও শতভাগ সাক্ষরতার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

দেশে সার্বিক সাক্ষরতা আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেয়া হয়।

মন্ত্রী জানান, দেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেয়ার জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) বাস্তবায়ন করছে। দেশের ৫০ লাখ নব্য-সাক্ষরকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা, বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে এবং কিছু শহর এলাকায় মোট ৫ হাজার ২৫টি আইসিটিভিত্তিক স্থায়ী কমিউনিটি লার্নিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রতিটি জেলায় একটি করে মোট ৬৪টি স্থায়ী ‘জীবিকায়ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।’