ডেস্ক নিউজ:
ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মহান প্রতিষ্ঠাতা ও “গণতন্ত্রের মানষপুত্র” হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৬তম জন্ম বার্ষিকী আজ শনিবার ৮ সেপ্টেম্বর। এ উপলÿ্যে যুক্তরাষ্ট্রস্থ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রচারকেন্দ্র সমাজকল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদ, জাতীয় চারনেতা পরিষদ, প্রবাসী বাঙ্গালী সমাজ কল্যাণ পরিষদ, “বণলতা” শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক গোষ্ঠী ও শিরি শিশু সাহিত্য কেন্দ্র (নিউইয়র্ক শাখা)সহ যুক্তরার্ষ্ট্রস্থ বাংলাদশে কর্মকমিটির বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি পালনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে।খবর বাপসনিঊজ:
উলেøখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর “রাজনৈতিক পিতা” হিসেবে পরিচিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইংরেজি ১৮৯২ সনে এ দিনে পশ্চিম বাংলার মেদেনীপুরে এক উচ্চ অভিজাত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। বৃটিশ ভারতে অভিক্ত বাংলার সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী (১৯৪৬- ৪৭) এবং তদানীন্তন পাকিস্তানের এককালীন প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৬- ৫৭) সোহরাওয়ার্দী ছিলেন তার সময়কার অবিস্মরণীয় জনপ্রিয় নেতা।
এ উপলক্ষ্যে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রস্থ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি প্রবীণ শিশু সাহিত্যিক হাসানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন বলেন, “ভাসানী-ভক্তরা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে দাঁড় করানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলে ও তা ঐতিহাসিক সত্য নয়। ভাসানী কখনোই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান বা কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন না। সোহরাওয়ার্দীর আশীর্বাদ,মনোনয়ন ও অনুমোদন নিয়ে ভাসানীকে প্রাদেশিক (পূর্ব বাংলা) আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি করা হয়। তবে ভাসানী একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন, এ বিষয়ে আমরা দ্বি-মত পোষণ করিনা। বর্তমান সময়ের উপনেতা ও পাতিনেতাগণ নিজেদের নিয়ে ঢাক-ঢোল পেটাতে এতটাই অতি ব্য¯Í থাকেন যে তারা সোহরাওয়ার্দী বা তার মত অতীতের মহান নেতাদের সহসা বিস্মৃত হন, তাঁদের নাম উচ্চারণ পর্যন্ত করেন না।
স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র প্রতিষ্টার স্বপ্ন সোহরাওয়ার্দীও দেখেছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর সেই লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করেছেন তাঁরই ‘রাজনৈতিক পুত্র’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। আসুন, কিংবদন্তী জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৬ তম জন্মদিবসে আমরা তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৬তম জন্মদিবস পালন করবে।
অবিভক্ত বাংলা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২4তম জন্মদিন আজ(বৃহস্পতিবার)। ১৮৯২ সালের এই দিনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারেতার জন্ম।
তার বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী। তার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান ঘটে।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হাইকোর্টসংলগ্ন মরহুমের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, আলোচনা সভা প্রভৃতি। আওয়ামী লীগদিবসটি উপলক্ষে আজ নানা কর্মসূচী পালন করেছে।
জনগণের প্রতি অকৃতিম ভালোবাসা ও গণতন্ত্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাই ছিল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবনের প্রধান রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য। দেশ ভাগের আগে ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি অখণ্ড স্বাধীনবাংলা নামে একটি ‘ডমিনিয়ন রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করার পর মায়ের অনুরোধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সোহরাওয়ার্দী।
১৯১৩ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্মান অর্জন করে সেখান থেকেই আইন বিষয়েও পড়াশোনা করেন এবং বিসিএল ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯১৮ সালে গ্রে`স ইন থেকে ‘বার অ্যাট ল’ অর্জন করেন তিনি। এরপর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। এ বছরেই কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯২৭ সালে স্বরাজ পার্টি থেকে পদত্যাগ করে১৯৩৬ সালের শুরুর দিকে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি গঠন করেন।
সাংবিধানিক শাসনে বিশ্বাসী ও বাস্তববাদী এ রাজনীতিবিদ ১৯২৪ সালে কলকাতা করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র, ১৯৩৭ সালে ফজলুল হক কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৪৩–৪৫ সালে খাজানাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী, ১৯৪৬–৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪–৫৫ সালে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রী এবং ১৯৫৬–৫৭ সালে ১৩ মাসপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারির পর ১৯৫৯ সালের আগস্টে তাকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা অপরাধ দেখিয়ে তাকে ১৯৬২ সালেরগ্রেফতার করা হয় এবং করাচি সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। কয়েক মাস পর তিনি মুক্তি পান। ওই বছরই তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এন ডি এফ ) গঠন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারির পর ১৯৫৯ সালের আগস্টে তাকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা অপরাধ দেখিয়ে তাকে ১৯৬২ সালেরগ্রেফতার করা হয় এবং করাচি সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। কয়েক মাস পর তিনি মুক্তি পান। ওই বছরই তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এন ডি এফ ) গঠন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৯৬৩ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি দেশের বাইরে যান লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থান কালে ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ৭১ বছর বয়সে মারা যান বাঙালির গর্ব বাংলার এই শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।