ইব্রাহীম আজাদ বাবু 
কক্সবাজারের সুনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাবেক গভর্নর বিশিষ্ট ,আইনজীবী, সমাজসেবী, এডভোকেট জহিরুল ইসলামের অনুজ প্রতিম ছোট ভাই কক্সবাজার আইনজবী সমিতির সাবেক সহ- সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,আইনজীবী, সমাজসেবক এডভোকেট নজরুল ইসলাম সাহেব, ব্যক্তিগত জীবনে যিনি শান্ত সভাব চরিত্রের একজন। রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ না থাকলে ও মুক্তিযোদ্ধের সপক্ষের সংগঠন আওয়ামীলীগে সমর্থন ও উক্ত সংগঠনের তৃণমূল ও অবহেলিত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। গত ১১ সালের কক্সবাজার বার কাউন্সিল নির্বাচনে আওয়ামী পন্থী প্যানেল থেকে বিপুল ভোট লাভ করে সহ- সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওকালতি পেশা হিসেবে না নিলেও বার কাউন্সিল এর সকলের প্রিয় একজন মানুষ আইনজীবীদের নজরুল ভাই, তিনি তাদের পরিবারের সদস্যের মত দেখতেন তাই প্রতিদিন ছুটে যেতেন বার ভবনে সবার সাথে কিছু আনন্দময় সময় কাটাতে।স্ত্রীর ইন্তেকাল এর পর একাই মা,বাবার স্নেহ দিয়ে বড় করার চেষ্টা করেছেন বড় সন্তান জনাব ইশতিয়াক আহমেদ জয় লন্ডন থেকে লেখাপড়া শেষে দেশে এসে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ প্রার্থীতা করার অনুপেরনা যুগিয়েছেন। ইশতিয়াক আহমেদ জয় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলে বাবা হিসেবে যতটুকু সম্ভব সহযোগীতা ও সাহস যুগিয়ে সন্তানের পাশে ছিলেন।বিশ্বাশ ছিল সম্মেলনে ভোট হলে বিপুল ভোটে সন্তান বিজয়ী হবে।দূরভাগ্য ভোট হলো না বলে সেবার সন্তান বিজয়ী হলো না কিন্তু পিতা সপ্ন দেখেতে ভুল করেন নি , সন্তান কে সাহস জুগিয়েছেন তারপর ও মাটে থাকার জন্য।বাবার সপ্ন পূরন করে বড় ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ জয় বর্তমান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, কক্সবাজারের ছাত্রসমাজের প্রিয়মুখ। বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ হওয়ার পর ১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হটাৎ রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসাপাতালে আনার পথে সন্তানদের এতিম করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।কক্সবাজার শহরে প্রিয় ব্যক্তিত্ব নজরুল সাহেব ইন্তেকালের খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে।প্রিয় বাবার ইন্তেকালের খবরে বড় ছেলে ঢাকা থেকে এবং ছোট সন্তান ইভান সদূর লন্ডন থেকে ছুটে আসেন।দ্বীতীয় দফা জনাজা অনুষ্টিত হয়ে কক্সবাজার বইল্ল্যাপাড়াস্থ কবরস্থানে দাফন সম্পর্ণ হয়।শোকাহত পরিবারের পাওয়া যায় নজরুল সাহেবের লিখা এক খানা ওসিয়ত নামা।ওসিয়তে সন্তানের উদ্দ্যশে কিছু লিখেছেন বড় ছেলে ইশতিয়াকের উদ্দ্যশে লিখেন “রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে অবশ্যই রাজনীতি করবে,রাজনীতি না করে কি করবে” ছোট সন্তান আশফাক ইভান কে লিখেন ” bba complete করে যেন দেশে ফিরে” মেয়ে সিগমাকে ” মায়ের সপ্ন ছিল সিগমা ডাক্তার হবে ” ছোট মেয়ে তখন ও খুব ছোট পি,এস,সি পরীক্ষা দিবে সব কিছু তখন আগোছালো বলে সন্তানদের প্রয়োজনে আরো কয়টি বছর বেঁচে থাকা দরকার বলে উল্লেখ করেছিলন সেই ওসিয়ত নামাতে।আজ তিনি বেঁচে নেয় ঠিক কিন্তু স্ত্রী ও ওনার দোয়া সন্তানরা বাবা,মায়ের সপ্ন পূরনের চেষ্টায় ব্যস্ত ইশতিয়াক ভাই সভাপতি হয়েছেন, ইভান ভাই bba.mba শেষ করলো, বোন সিগমা এখন প্রাইভেট মেডিকেলে পড়ছেন, ছোট বোন উজমা advocate হবে।আমি পিতাহারা এতিম আমার বাবা এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের ইন্তকালের পর একটা কথা ভাল বুঝি “যার মা,বাবা বেঁচে নেয় তার চারপাশে সব থেকেও পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেয় ” দুই একজন ছাড়া খুব কাছের মানুষরা ও তখন অপরিচিতদের মত ব্যবহার করে।
চিনতে কস্ট হয়। নজরুল সাহেবের মা,বাবা হারানো চার সন্তান এই বুক ভরা কস্ট নিয়ে কি করে বেঁচে আছ একমাত্র বিধাতা ভাল যানবেন। আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পেরিয়ে গেল ৭ টি বছর বাবার হারনো সন্তান
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি
ইশতিয়াকের আজকের ফেসবুক স্ট্যাটাস
“বাবার সাথে আমার সম্পর্ক অদ্ভুত ও অন্যরকম ছিলো ।” অদ্ভুত ও অন্যরকম ” বলার কারণ হলো, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা বিবেচনা করলে এই বিশেষণ না দিয়ে উপায় নাই। আমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন… ২১-২২ বছর বয়সে যখন দেখেছি সব বন্ধুদের সাথে তাদের বাবার দূরত্ব তৈরি হয়েছে তখন আমি আমার বাবাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতাম আশপাশের অনেকেই এটা নিয়ে হাসাহাসি করতো। আমার বাবা আমাকে অন্যরকম এক মুগ্ধতায় বাঁচিতে শিখিয়েছিলেন।ছাত্ররাজনীতি করতে আশেপাশের অনেক সহযোদ্ধা ও অগ্রজদের বাবা যখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে আমার বাবা আমাকে ছাত্ররাজনীতি করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। সত্যি কথা বলতে কি… আমার বাবার ইচ্ছেতেই আমি ছাত্ররাজনীতি শুরু করেছিলাম।মাঝখানে পড়াশোনা করতে লন্ডন গিয়েছিলাম। ফিরে এসে যখন ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছিলাম তখন বাবা বললেন ব্যবসা না করে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে। আমি প্রথমবার বাবার ইচ্ছেতেই জেলা ছাত্রলীগের প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু সেবার হতে পারেনি ভেঙে পড়েছিলাম খুব। বাবা আমাকে সাহস দিয়েছিলে পাশে থেকেছিলেন।শুধু বাবা হিসেবে নয় একজন ছাত্রলীগের অগ্রজ হিসেবেও।
আমার বাবা ছিলেন চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের ছাত্রলীগ মনোনীত জিএস এবং ছাত্রলীগ মনোনীত ছাত্র সংসদের ভিপি। মায়ের মৃত্যুর পর বাবা শুধুমাত্র আমার বাবা ছিলেন না,তিনি হয়ে গিয়েছিলেন আমার মা। তাই বাবার মৃত্যুর পর আমি বাবার সাথে সাথে মা’কেও হারিয়েছিলাম। বাবার মৃত্যুর শোকের সাথে যোগ হয়েছিলো মায়ের মৃত্যুর শোক। বাবা আমাকে ভালোবাসার এক অসীম আকাশ দেখিয়েছিলেন, যেখানে শুদ্ধতাঘেরা জীবনের সুখগুলো মেঘের মতো ভাসতো। সেই আকাশ জুড়ে এখন কিসের ঘনঘটা তা লেখার মতো সাহস আমার নাই। ভালোবাসা আর বেদনায় বেঁচে আছে আমার বাবা আমার হৃদয়ে, কখনওই তাঁর মৃত্যু নাই; যদিও আজ ৫ সেপ্টেম্বর.. এইদিনে বাবা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন অন্য পৃথিবীতে,আমাকে অসীম শূন্যতায় ফেলে!! বাবা তুমি ভালো আছো তো…?
প্রয়াত নজরুল চাচার দ্বিতীয় সন্তান
ইভান বাবার স্বপ্ন পূরণ করে সদূর লন্ডন থেকে বিবিএ, এমবিএ  শেষ করে এখনো দেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে
আশফাক আহমেদ ইভান তার ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখেছে” একটু পর ৫ সেপ্টেম্বর , আববুকে হারিয়েছি এইদিনে . আববুর আদর শাসন হারিয়েছি . এখন হয়তো তোমার মত কেও জিজ্ঞেস করেনা খেয়েছি কিনা , তুমি চলে যাওয়ার পর বুঝতে পেরেছি জীবনে তোমার কত দরকার ছিল.এই স্বার্থপর পৃথিবীতে এখনো তোমার অপেক্ষায় থাকি. ভাল থেকো বাবা.””

চাচা নজরুল সাহেব একজন সফল বাবা
দুই ছেলে নিজ নিজ অবস্থানে
বড় মেয়ে সিগমা শিক্ষানবিশ চিকিৎসক।
ছোট সদ্য এস এস সি পাশ করলো।

অভিবাবকহীনতার কষ্ট আমি বুঝি
আমার বাবা বেঁচে নেই আজ ১২ বছর ছোট বয়সে বাবাকে হারিয়েছি
এখন এক বুক কস্ট নিয়ে বাবাকে খুজে বেড়ায়।
সবার কাছে আমাদের বাবা,মা যারা ইন্তেকাল করেছেন ওনাদের জন্য দোয়া চাইছি। আজকের দিনে প্রয়াত চাচা নজরুল সাহেব কে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি এবং সকলের কাছে ওনার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি, শোকাহত পরিবার ও উক্ত পরিবারের সকল শুভাঙ্খীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেধনা জানাচ্ছি।

ইব্রাহীম আজাদ বাবু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক- কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।