বার্তা পরিবেশক
ভিন্ন একটি ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রভাবশালী নেতা, সমুদ্র সৈকত ও হোটেল মোটেল জোনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী রাসেল আহম্মেদ নোবেলকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন শহর কৃষকলীগের আহ্বায়ক নামদারী এরশাদুজ্জামান সুমন নামে এক ব্যক্তি। এই অপপ্রচারের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে হোটেল মোটেল জোন ও সৈকতের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ সমুদ্র সৈকতে দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি সামান্য ঘটনা ঘটেছে। তাও সেই ঘটনায় কাজী রাসেলের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু ওই ঘটনার জেরে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে নাটক মঞ্চায়ন করে একটি চক্র কাজী রাসেলের সুমান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। সেখানে রাসেলকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে কথিত শহর কৃষকলীগের আহ্বায়ক এরশাদুজ্জামান সুমন। এরশাদুজ্জামান একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী। রাসেলের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে ব্যবসায়ীরা।’
বক্তারা আরও বলেন, কাজী রাসেল একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং নিজেও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক। এছাড়াও হোটেল মোটেল জোন ও সৈকতের ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ একটি ঠিকানা। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং সৈকতে বিশৃঙ্খলাকারী আবারও প্রবেশ করতে একটি বিশেষ মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এর পরিণতি শুভ হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের সৈকত থেকে উৎখাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন আন্দোলনকারীরা।
কয়েকদিন আগে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ব্যবসায়ী নুরুল হুদা গুরা মিয়ার সাথে অপর ব্যবসায়ী রুবেলের মধ্যে সামান্য ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষ মামলাও দায়ের করে। পরে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে সৈকতের ব্যবসায়ী রুবেলকে কৃষকলীগ নেতা উপাধী দিয়ে শহর কৃষকলীগ মানববন্ধনের আয়োজনের করে। সেখানে শহর কৃষকলীগের আহ্বায়ক এরশাদুজ্জামান সুমন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী রাসেলকে কটাক্ষ করে অপপ্রচার করে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রুবেল যুবদলের সক্রিয় একজন সদস্য। কিন্তু পায়দা লুটার জন্য রাতারাতি তাকে কৃষকলীগ নেতা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
সমুদ্র সৈকত সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং সুগন্ধা শুটকি ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা আব্দুর রহমান। এতে আরও একাধিক সংগঠন অংশ নেয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সী-ইন মার্কেটের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা ও কক্সবাজার কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং লাবণী ষ্টুডিও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহম্মেদ নোবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাজী জসিম উদ্দিন, সী-ইন মার্কেটের সভাপতি জহির আহম্মেদ, সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. হানিফ, যুবনেতা ও ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন, বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সদস্য কাশেম আলী, ড্রাগন মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ, কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি নুরুল হুদা, কটেজ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফেজুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগ নেতা নাফিস ইকবাল।