সিবিএন ডেস্ক:
বলপ্রয়োগ করে কারখানা মালিককে দাবি মানতে বাধ্য করা যাবে না। যদি শ্রমিকরা এ ধরনের অসদাচরণ করেন তাহলে অনধিক এক বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) ২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: শফিউল আলম এসব কথা জানান।
তিনি জানান, কোনো শ্রমিক একাধিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হলে এক মাসের সাজা প্রদান করা যাবে বলে আইনে বিধান রাখা হয়েছে। প্রসূতি নারী শ্রমিককে ৬ সপ্তাহ ছুটি না দিলে উক্ত কারখানা মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে।
এছাড়াও শ্রমিকদের পক্ষে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে নতুন আইনে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, কর্মক্ষেত্রে আহত হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে আহত হলে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।
তিনি বলেন, শ্রম আইনের বেশকিছু ধারা সংশোধন করা হয়েছে। এ আইনের তিন ধারায় সরকারি চাকুরিজীবিদের মতোই উৎসব ভাতার পদ্ধতি রাখা হয়েছে। আইনের ৪৪ ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে কিনা, সে সম্পর্কিত বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।
আইনের ৪৭ ধারায় বলা হয়েছে, নারী শ্রমিকরা সন্তান প্রসবের ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত কাজে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন। ৯৩ ধারায় বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটি যৌথ দরকষাকষির ভিত্তিতে উৎসব ছুটির সাথে যুক্ত করে ভোগ করতে পারবে শ্রমিকরা। সেক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটির জন্য কোনো ভাতা পাওয়া যাবে না বরে জানান সচিব।
শিশুদের কোনোভাবেই কাজে নিয়োগ দেয়া যাবে না বলে জানান মন্ত্রী পরিষদ সচিব। যদি কোনো কারখানা মালিক শিশুদের কাজে নিয়োগ দেন সেক্ষেত্রে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে বলে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।