এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়ায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতি, হত্যা, অপহরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও চিংড়ি জোনে লুটপাটসহ ৫ মামলার পলাতক আসামী আবদুল হামিদ (৩০) নামের এক ডাকাতকে দেশীয় তৈরি একটি অস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করেছে। রবিবার বেলা ৩টার দিকে চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ ইলিশিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।ধৃত ডাকাত আবদুল হামিদ সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানায়,ইলিশিয়া বাজার এলাকায় অস্ত্রসহ আবদুল হামিদ ডাকাত নামের হত্যা মামলার পালাতক আসামী অবস্থান করছে এরখম সংবাদ পেয়ে ওসির নির্দেশে রবিবার বেলা ৩টার দিকে পুলিশের একটি টীম ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো: আলমগীর হোসেন ও এস আই সুকান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে তাকে ঘেরাও করে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরি একটি অস্ত্র (এলজি) ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে স্থানীয় জনতার সামনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে স্বীকার করে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

ভিযানে যাওয়া থানার এস আই আলমগীর হোসেন বলেন, উপকূলীয় এলাকায় গত বছর জুন মাসে রামপুর চিংড়ী ঘেরে নিহত ঘের কর্মচারী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ডাকাত আবদুল হামিদ।পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে পালাতক আসামী ডাকাত হামিদকে ধরতে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। রবিবার বেলা তিনটার দিকে ইলিশিয়া বাজার এলাকায় অবস্থান করছে এ রখম গোপন সংবাদ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে তাকে অস্ত্র ও তিন রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়।তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, অপহরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও চিংড়ি জোনে লুটপাটসহ ৫ টির অধিক মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,উপকূলীয় এলাকার রামপুর চিংড়ি জোনের শীর্ষ ডাকাত আবদুল হামিদকে অস্ত্র ও গুলিসহ পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, হত্যা, অপহরণ ও চিংড়ি জোনে লুটপাটসহ ৫টি মামলা রয়েছে।ধৃত ডাকাতের বিরুদ্ধে বেআইনী অস্ত্র রাখার দায়ে থানায় আরো একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।