চকরিয়া প্রতিনিধি :

চুরির অভিযোগ এনে চকরিয়া থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ৩১ আগষ্ট রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিশু নির্যাতনের ভিড়িওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে নানা সমালোচনার ঝড় উঠে। শনিবার সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত দেলোয়ার হোসেন নামের এক সিএনজি চালককে আটক করেছে। আটককৃত ওই যুবক উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলীর ইউছুফ আলীর পুত্র।

সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল দশটা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চকরিয়া থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে আনুমানিক ১০বছরের অজ্ঞাত এক শিশুকে কিল ঘুষি এবং মোটা রশি দিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন চালায় এক সিএনজি চালক। নির্যাতনের পর থেকে এখনো পর্যন্ত ওই শিশুটিকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শিশু নির্যাতনের দৃশ্যটি কে বা কারা মোবাইলে ভিভিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুর্হুতের মধ্যে শিশু নির্যাতনের দৃশ্যটি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শিশু নির্যাতনের দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এতে বিবৃতকর অবস্থায় পড়ে চকরিয়া থানা পুলিশ। ১ সেপ্টেম্বর সকাল দশটায় সমালোচনার মুখে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে শিশু নির্যাতনকারী সিএনজি চালক দেলোয়ার হোসেন (৩৪) আটক করে। গতকাল শনিবার সকাল দশটায় শিশু নির্যাতনকারী দেলোয়ারকে আটকের কথা বলা হলেও তার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কেউ কোন মামলা করেনি।

অভিযুক্ত সিএনজি চালক দেলোয়ার জানান, সে প্রায় সময় সিএনজি গাড়ি নিয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের ডিউটি করতে যায়। রাতে ডিউটি শেষে থানার ভেতরে সিএনজি গাড়িটি পার্কিং করেন। ওই শিশুটি রাতে তার গাড়ি থেকে রেছ ও স্ক্রু চুরি করে বলে অভিযোগ তুলেন সিএনজি চালক। এজন্য ওই শিশুটিকে ধরে মারধর করা হয়। শিশুটির বাড়ি উখিয়া উপজেলায় বলে জানায়। পরে তাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ভাত খাওয়ানোর পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে ঘটনাটি দুই মাস পূর্বের। কেউ দুশমনী করে ছেড়ে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত দুই মাস পূর্বে একটি সিএনজি থেকে রেছ ও স্ক্রু চুরি করায় এক শিশুটিকে মারধর করায় জানতে পারি। শিশুটি কোন এলাকার জানা যায়নি। এঘটনায় চালককে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি থানা কম্পাউন্ডে ঘটেনি বলে তিনি জানান।