মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বান্দরবানের লামা পৌরসভা এলাকার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের লাইনঝিরি এলাকার বাসিন্দা মুসলিম মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। ফলে যে কোন মুহুর্তে পাহাড়ের ওপরের অংশ ধসে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি ঝিরি পানির স্বাভাবিক গতি। পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন যখন তৎপরতা শুরু করেছে ঠিক তখনিই লামা পৌরসভা এলাকার লাইনঝিরি এলাকায় বসতঘর নির্মাণের জন্য মুসলিম মিয়া গত ৮-৯ দিন ধরে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। কর্তৃনকৃত পাহাড়ের কোল ঘেষে দুইটি বসতঘরও রয়েছে। একটু ভারী বর্ষণেই এ পাহাড়ের ওপর অংশ ধসে পড়ে বসতঘর বিধ্বস্তসহ প্রাণহানি ঘটতে পারে। এছাড়া কর্তনকৃত পাহাড়ের মাটি পড়ে ভরাট হচ্ছে পাদদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি ঝিরি। পরিবর্তন হচ্ছে এ ঝিরির পানি প্রবাহের গতিপথও। এর বিরুপ প্রভাবে এখনিই দেখা দিয়েছে ঝিরির তীরবর্তী ফসলি জমি ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা। সেই সঙ্গে উজাড় করা হচ্ছে পাহাড় জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো জানায়, পাহাড় কাটতে নিষেধ করলেও কোন কথা আমলে না নিয়ে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছেন মুসলিম মিয়াকে। এর আগেও তিনি একই পাহাড়ের পূর্বপাশের একটি অংশ কেটে মাটি বিক্রি দিয়েছেন। ওই সময় পুলিশ পাহাড় কাটা বন্ধ করে দেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও পাহাড় কাটা শুরু করেন মুসলিম মিয়া। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুসলিম মিয়া বলেন, এখন পাহাড় কাটা হচ্ছেনা।