এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:

চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর লাগায়ো ও পেকুয়ার করিয়া মৌজারসহ উপকূলের আংশিক কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর প্রান্তে দারাখাল খাল ঘোনার (কেঁড়া বন্যা) ঘোনার ২য় তলা বিশিষ্ট কামার বাড়ীতে চকরিয়া,মহেশখালীসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার বাঘা বাঘা দাগী অপরাধীরা আস্তানা গেড়েছে বলে নিভর্রযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, পেকুয়া থানার উজানটিয়া ইউনিয়নের ঢওয়াখালী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজ ও পাশ^বর্তী মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাটের বাসিন্দা মসলম উদ্দীনসহ একটি চিংড়ি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দারাখাল ঘোনাটি প্রতি বছর ইজারা নিয়ে চিংড়ি চাষ করে আসছে। উক্ত ঘোনের সর্বশেষ উত্তর প্রান্তে সাগরের সাথে লাগায়ো রয়েছে দ্বি-তলা বিশিষ্ট একটি কামার বাড়ী। এ ঘেরের মালিকরা অবগত থাকার সত্বেও উপকূলীয় এলাকার সন্ত্রাসীরা আইনশৃংখলা বাহিনীর চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে গ্রেফতার এড়াতে ওই কামার বাড়ীকে নিরাপদস্থল মনে করে আশ্রয় নিচ্ছেন দলে দলে। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে বিভিন্ন চিংড়ি প্রজেক্টেসহ বিভিন্ন নৌ-জানা হানা দিয়ে লুটরাজ চালাচ্ছে তারা।

এদিকে পাশ্ববর্তী বিভিন্ন প্রজেক্টের ঘের মালিকদের অভিযোগ আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীদের বেঁধে দাওয়া সময়ের মধ্যে প্রতিটি চিংড়ি ঘের থেকে চাহিদা মত মোটা অংকের চাঁদা না দিলে মাছ ধরার সময় শ্রমিকদের অস্ত্র ঠেঁকিয়ে মাছ নিয়ে যাচ্ছে। ফলে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে ঘের মালিকরা। আর মাছ ধরার এ ভরা মৌসুমে উপকূল জুড়ে সন্ত্রাসী ডাকাতদের তান্ডব কোন মতে থামানো যাচ্ছেনা। সাগর উপকূল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জলদস্যুরা।

জানাগেছে, সাগরের কাছাকাছি সন্ত্রাসী ও জলদস্যু বাহীনির সদস্যরা অবস্থান করায় তাঁদের আটক করতে হিমছিম খাচ্ছে খোদ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে উক্ত ঘের থেকে মাঝে মধ্যে সন্ত্রাসীরা তাঁদের অবস্থান জানান দিতে রাতে ভূঁরিভোজ করে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। তখন পাশ্ববর্তী ঘেরে অবস্থানরত শ্রমিক -নদী ও খালে থাকা নৌ-যানের শ্রমিকরা ভীতিসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহেশখালী থানা পুলিশ পাহাড় ও নৌ-পথে স্থল পথে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আটক হওয়ায় অপরাপর অপরাধীরা অভিযানে টিকতে না পেরে গ্রেফতার এড়াতে ওই কামার বাড়ীকে নিরাপদ মনে করে আশ্রয় নিচ্ছে। তবে মহেশখালী থানা পুলিশ সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানা ও মদের মহাল। ইতিমধ্যে একের পর এক সন্ত্রাস বিরোধী সফল অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা আটক হওয়ায় অভিযানে নেতৃত্বধানকারী মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জেলা জুড়ে সাহসীকতার প্রমাণ দেওয়ায় আলোচনা চলে এসেছেন। উর্ধ্বতন পুলিশের তিনি মধ্যমনিতে পরিণিত হচ্ছেন বলে বিশ^স্থ সূত্রে জানা গেছে।

ফলে দীর্ঘদিন পর হলেও ছোট হয়ে আসছে মহেশখালীতে অপরাধীদের রাজত্ব। আর চলতি অভিযান কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা দূর থেকে মনিটরিং করতেছে উপকূলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের একটি বিশাল অংশ। তবে চকরিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালী থানা যৌত অভিযান পরিচালনা করলে উক্ত এলাকার বাঘা বাঘা অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভাব হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আমিনুল ইসলাম বলেন, চিংড়ি ঘেরের কোন অপরাধীরা আশ্রয় নিয়ে থাকলে খোজঁ নিয়ে অভিযান চালানো হবে। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, পুলিশের চলতি অভিযান জোরদার রয়েছে। আর সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবেনা। আর এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।: