নুসরাত পাইরিন :

টেকনাফে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধু মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়ায় ঘটেছে এ ঘটনা। নিহত গৃহবধু বেবী আক্তার (২০) কাঞ্জর পাড়ার মোঃ সোহেল (২৬) এর স্ত্রী। সংবাদ পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ুয়া ঘটনাস্থলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আতিক, পরিদর্শক (অপস্) শরীফ ও এস আই দীপাঙ্কর সহ পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পাঠান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
ঘটনার পর পরই ঘাতক স্বামী সোহেল পালিয়ে যায়। সোহেল স্থানীয় আবুল কালামের ছেলে।
৩০ আগষ্ট ভোর সাড়ে ৪ টায় গোপন সূত্রের সংবাদের ভিত্তিতে ওসির নেতৃত্বে এস আই দীপাঙ্কর ও স্থানীয় ইউ পি সদস্য আব্দুল গাফ্ফার সহ পুলিশ দল হোয়াইক্যং করাচি পাড়ায় অভিযান চালিয়ে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গত ৩ বছর পূর্বে কাঞ্জর পাড়ার মোঃ আইয়ুব আলী ও মুনিরা বেগমের কন্যা বেবী আক্তারের সাথে একই এলাকার আবুল কালামের পুত্র মোঃ সোহেল এর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয়। গত কয়েক বছর ধরে স্বামী সোহেল মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সময়ে অসময়ে নানা অজুহাত তুলে বেবীর উপর নির্যাতন চালাত। গত ৭ মাস আগে বেবী আক্তার এক ছেলে সন্তানের মা হন। তার নাম রাখা হয় মোঃ সাইফুল ইসলাম। ২৮ আগষ্ট রাত ১টায় নিহত বেবীর স্বামী সোহেল বাড়ির দরজা খুলতে বলে। তখন প্রসূতি বেবী আক্তার তার স্তন্যপিপাসু শিশু সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। স্বামীকে দরজা খুলে দিয়ে কান্নারত শিশুটির কান্না থামাতে পূনরায় শিশুর পাশে যান। পাষান্ড স্বামী এক পর্যায়ে ‘খাবার আনতে এতো দেরী কেন’ বলে স্বজোরে সুমির তল পেটে কয়েক দফা লাথি অতঃপর কিল ঘুষি মারে। এতে বেবী অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে প্রাইমারী চিকিৎসা করে। একদিন পর অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৯ আগষ্ট দুপুরে হ্নীলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়ার পথে বেবী মারা যান।
অভিযোগ উঠেছে আসামী সোহেল এর বাবা বেবী আক্তারের চিকিৎসায় গাফিলতি করে যার কারনে বেবী আক্তারের মৃত্যু হয়।
ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, নিহত বেবীর পিতা আইয়ুব এর দায়ের কৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেবীর স্বামী সোহেল, শ্বশুড় আবুল কালামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, ধৃত আসামী সোহেল কে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।