ডেস্ক নিউজ:
শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ইস্যু করেছে শেয়ারবাজারবিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ। বুধবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে মতিঝিল থানা বরাবর পাঠানো হয়েছে।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার নিয়ে ১৯৯৬ সালে কারসাজি করার অভিযোগে মোহাম্মদ ভাই ও আজিজ মোহাম্মদ ভাই’র বিরুদ্ধে মামলা করে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এক দফা পিছিয়ে বুধবার ১৯৯৬ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারির এ মামলাটির অভিযোগ (চার্জ) গঠন হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল এ মামলাটির আসামি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেছে।

মামলাটির চার্জ গঠনের জন্য প্রথমে ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। তবে বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল চার্জ গঠনের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী বুধবার মামলাটিতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। তবে এ দিন ট্রাইব্যুনালে আসামি আজিজ মোহাম্মদ ভাই উপস্থিত ছিলেন। যে কারণে তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন ও মোশাররফ হোসেন কাজল উপস্থিতির জন্য সময় আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তা নাকচ করে দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

একই সঙ্গে মামলাটির পরবর্তী বিচার কাজের জন্য ট্রাইব্যুনাল ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন মামলাটির বাদী এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশীদ খান সাক্ষ্য দেবেন।

মামলাটির অপর আসামি মোহাম্মদ ভাই চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি মারা গেছেন। গত ২৪ জুলাই আসামিদের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদ ভাইয়ের মৃত্যুর সনদ দাখিল করেন। এর আলোকে মোহাম্মদ ভাইয়ের মৃত্যুর সত্যতা যাছাইয়ে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিয়েছিল। যার মৃত্যুর সত্যতা আছে বলে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ।

শেয়ার কেলেঙ্কারির বহুল আলোচিত মামলাটি ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারবিষয়ক ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলেও ২০১৩ সাল থেকে উচ্চ-আদালতের নির্দেশে মামলাটির বিচার কাজ স্থগিত ছিল। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর চলতি বছরের ২৪ জুলাই বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি আবার চালু হয়। ওইদিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কপি দাখিল করা হয়।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর উচ্চ-আদালত অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলাটির স্থগিতাদেশ বাতিল করে। বিচারক এম এনায়েতুর রহিম ও শহিদুল করিমের দ্বৈত বেঞ্চ এই বাতিলের আদেশ দেন।

মোহাম্মদ ভাই ও আজিজ মোহাম্মদ ভাই’র পাশাপাশি মামলাটিতে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজকেও আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।