এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:

চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমকে (৩৪) দিনদুপুরে গুলি করে হত্যার চেষ্ঠার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার বিকেল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে ইউনিয়নের শহরআলী স্টেশনের দক্ষিনে সাইক্লোন সেন্টারে পাশে ঘটেছে এ ঘটনা। ওইসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত আবু হানিফ প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত আবু হানিফ কোনাখালী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল আলীমের ছেলে।

কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়া গ্রামে তাঁর পৈত্রিক বেশ কিছু জায়গা-জমি রয়েছে। কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত আবু হানিফ দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে সহযোগি ভাড়াটে সন্ত্রাসী জড়ো করে ওই জায়গা জবরদখলের চেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। এ ঘটনায় আমি বাঁধা দিলে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে অভিযুক্ত আবু হানিফ। এরই জেরে সর্বশেষ রোববার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত আবু হানিফ শহরআলী স্টেশনের দক্ষিনে সাইক্লোন সেন্টারে পাশে আমার পথরোধ করে বুকে বন্দুক থাক করে গুলি করে হত্যার চেষ্ঠা করেন। ওইসময় আশপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখে এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী আবু হানিফ প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

আওয়ামীলীগ নেতা শামসুল আলম জানান, ঘটনার পরপর তিনি মোবাইলে বিষয়টি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলমকে অবহিত করেন। এরপর তিনি ঘটনাটি মাতামুহুরী পুলিশের আইসি নাজমুল হককে জানান। তাৎক্ষনিক আইসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন। পরে তিনি ঘটনার বিস্তারিত চকরিয়া থানার ওসিকে অবগত করেন। শামসুল আলম জানান, এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন।

এদিকে কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যার চেষ্ঠায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসী আবু হানিফকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে গতকাল ২৮ আগস্ট বিকালে কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোছাইন মেম্বারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার জসিম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক আলী আকবর, মেম্বার আহমদ হোসেন, সাবেক মেম্বার আব্বাস উদ্দিন, কোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কালাম, সম্পাদক আজগর আলী, ২নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জাহাংগীর মেম্বার, সম্পাদক জামাল হোছাইন, ৩নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক কালাম বকসু, ৪নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার, ৫নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, ৬নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নুরুল হুদা, ৭নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল হামিদ, সম্পাদক মোহাম্মদ লায়েক, ৮নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ইসহাক কুতুবী, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক আকতার উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেম্বার মনির উদ্দিন, যুবলীগ নেতা ইকবাল বাহার, মো.ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এরশাদ, ছাত্রনেতা তারেক, মোশারফ প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।