ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাসেবা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ আগষ্ট) কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের সাব্বির আহমদ নামের ৬০ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ রোগী সিসিইউতে ভর্তি হন।
ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহানসহ একদল চিকিৎসক প্রথম এই রোগীর চিকিৎসাসেবা দেন।
৪ শয্যার এই সিসিইউ জেলা পর্যায়ে বাংলাদেশে প্রথম। জেলা সদর হাসপাতালের বর্তমান মূল ভবনের চার তলায় ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) পাশে স্থাপন করা হয়েছে সিসিইউ। ইতোমধ্যে ইউনিটে শয্যাসহ প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ইউনিটের মূল ফটকে লাগানো হয়েছে সাইনবোর্ড। পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার পর ২৭ আগষ্ট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে হৃদরোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ও প্রত্যাশিত সিসিইউ চালু হয়। এতে এক কোটি টাকার বেশি যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সামগ্রী সংযুক্ত করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হার্টের রোগীদের ১৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম যেতে হবে না। এখানে পরীক্ষা নীরিক্ষার কাজও চলছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে সিসিইউতে ৩ জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৪ জন মেডিকেল অফিসার এবং ৮ জন সেবিকা (নার্স) দায়িত্ব পালন করবেন।
সার্বিক তত্ত্বাবধান করবে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ।
জাপানের জাইকার বিশেষ সহায়তায় কাঙ্খিত এই সিসিইউতে অত্যাধুনিক মনিটর, বেড, সর্বাধুনিক মেডিকেল চিকিৎসা থাকছে। ইকোকার্ডিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা করা হবে।
ক্যাথল্যাব না থাকায় এন্জিওগ্রাম বা অপারেশন এখনও চালু হবেনা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত করুণ অবস্থার রোগীকে সিসিইউতে রাখা হয়। হৃদরোগীকে পুরোপুরি নিরাময়ের জন্য স্ট্রোক-পরবর্তী পুনর্বাসন জরুরী। সিসিইউতে এই কাজটাই করা হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পু চ নু বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের প্রথম জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ চালু করা হয়। এবার সিসিইউ যুক্ত হলো। জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে সিসিইউ চালুর ঘটনাও দেশে প্রথম। চিকিৎসা সেবা খাতে কক্সবাজারবাসীর জন্য এটি বিশাল প্রাপ্তি।