বিশেষ প্রতিবেদক:
উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের মোঃ শফির বিল (পাটুয়ারটেক) এলাকার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী বদি আলমের স্ত্রী নুর আয়েশার নানা অপকর্ম ও পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় ৪ সহোদরের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর মামলা নং ৪৬৬/২০১৮। এ মামলার আসামীরা হলো- নুর আয়েশার দেবর মোঃ আলম, মোঃ করিম, ইসহাক আহমদ ও তাদের চাচতো ভাই খলিল আহমদ। মামলার বাদি আবুল শামা নুর আয়েশার ভাই।
মামলাটির পর ব্যাপক অনুসন্ধান করে জানা গেছে, সংসারের অভাব ঘোচাতে ৪ বছর পূর্বে মালয়েশিয়া যান নুর আয়েশার স্বামী বদি আলম। তিনি মোঃ শফির বিল (পাটুয়ারটেক) এলাকার হামিদুর রহমানের ছেলে। সংসারে স্বামীর অনুপস্থিতির এই ৪ বছরে পরকীয়া প্রেমসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী নুর আয়েশা। ১ ছেলে ২ মেয়ে থাকা সত্ত্বেও পরপুরুষকে ঘরে এনে গোপনে ফূর্তি করে বিভিন্ন সময়। গভীর রাতে বাড়ী থেকে বের হয়ে অজানায় চলে যায়। এসব অপকর্মের কথা নুর আয়েশার মা, ভাইসহ স্বজনকে অগত করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শুধু তাতে শেষ নয়, অপকর্মকালে নুর আয়েশাকে বেশ কয়েকবার হাতেনাতে ধরে স্বজনের হাতে তুলে দেয়া হয়। এমন অভিযোগ স্থানীয় বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে- অনেকবার সতর্ক করার পরও থামেনি নুর আয়েশার অপকর্ম। অব্যাহত রাখে ফূর্তি ও পরকিয়া। পরকিয়ার লালসা মেঠাতে ১৬ আগষ্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সন্তানদের ঘরে তালাবদ্ধ করে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। রাত ৩টার দিকে ঘরে ফিরে। বিষয়টি শ্বশুর বাড়ির লোকজন দেখে তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি। সংশোধনের উদ্দেশ্যে কয়েকটি চড় থাপ্পড় দেয়। ঘটনাটি তালগুল পাকিয়ে নিজের ভাইকে বাদি বানিয়ে আদালতে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে। তবে, এর আগে থানায় মামলা করতে গেলেও অভিযোগ মিথ্যা হওয়ায় থানা মামলা নেয়নি।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানায়, নুর আয়েশাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়। এরপরও তার অপকর্ম বন্ধ হয়নি। সংশোধন করতে না পেরে শ্বশুরালয়ের লোকজন নুর আয়েশার মা-ভাই ও স্বজনদের ডেকে ঘটনা অবগত করে।
দেবর মোঃ আলম বলেন, আমার ভাই বদি আলম প্রবাসে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী নুর আয়েশা বেপরোয়া হয়ে যায়। বিভিন্ন যুবকেদের ঘরে এনে আড্ডা দেয়। রাতের অন্ধকারে কোথায় চলে যায়। ১৬ আগষ্ট গভীর রাতে সন্তানদের বাড়ির ভেতর তালাবদ্ধ রেখে কোথায় চলে যায় নুর আয়েশা। সন্তানদের কান্নাকাটির শব্দ শুনে গিয়ে দেখি বাড়িতে তাদের মা নেই। এরপর বিভিন্ন স্থানে সন্ধানের খবর শুনে রাত তিনটার দিনে বাড়ীতে ফিরে। বিষয়টি তাৎক্ষণিত নুর আয়েশার মা, ভাইসহ স্বজনকে জানানো হয়। এলাকাবাসী ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছে। তার কারণে আমাদের সামাজিক মানমর্যাদা মারাতœক ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, তার অপকর্মের কথা তাতে শেষ নয়। কিছুদিন আগে সে অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়েছিল। অপকর্মকালে বেশ কয়েকবার সে হাতেনাদে ধরা পড়ে। এসব বিষয়ে তার মা ও ভাইকে জানানো হয়। পাড়াপড়শীরাও ঘটনা অবগত। নিজের অপকর্ম ঢাকা দিতে আমরা ৪ সহোদরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে। সুপারী গাছের সাথে বাঁধা ছবিটি পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবী করেছেন দেবর মো. আলম।
এদিকে আরো অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাদির মামলার ওকালতনামায় জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আবদুল মন্নানকে দেখানো হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে তার কোন অবগতি বা সম্মতি নেই বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে মোঃ আবদুল মন্নান বলেন, কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর ৪৬৬/২০১৮ নং মামলায় আমাকে আইনজীবী হিসেবে দেখানো হয়েছে। অথচ সেবিষয়ে আমি জানিনা। এটি কেমন করে হয়? বাদিপক্ষ আসলে যে মিথ্যুক তা এতেই প্রমাণিত।