নিউজ ডেস্ক:
বায়ু দূষণ শুধু হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, মস্তিষ্কের ওপরও এর বিরূপ প্রভাব রয়েছে। কথা বলার সময় শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এক্ষেত্রে বেশি ভুগছেন বয়স্করা। পাশাপাশি বায়ু দূষণ মানুষের গাণিতিক ও মানসিক দক্ষতাও কমিয়ে দিচ্ছে। সম্পতি এক গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে।

চীনের ইয়েল ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ গবেষণা চালায়। ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস) গবেষণা প্রতিবেদনটি তাদের জার্নালে প্রকাশ করে।

ওয়াশিয়ংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘমেয়াদী বায়ু দূষণে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ভাষাগত ও গাণিতিক দক্ষতা মারাত্মকভাবে লোপ পেয়েছে। ইয়েল ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা কাজে সহযোগিতা করে।

গবেষকরা বলছেন, বায়ু দূষণজনিত কারণে নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ভুক্তভোগী। সবচেয়ে ভুক্তভোগী বয়স্করা।

২০১০-২০১৪ সালে ৩২ হাজার চীনা নাগরিকদের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। বায়ু দূষণ মানুষের মধ্যে কীভাবে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে তা বিবেচনা করা হয় এই জরিপে।

গবেষক দলের একজন জিয়াবো ঝাং। তিনি বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, গাণিতিক দক্ষতার চেয়ে ভাষাগত দক্ষতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে বায়ু দূষণ। বয়সভেদে পুরুষদের মধ্যে খুব কমই ভাষাগত দক্ষতা দেখাতে পেরেছে।

‘বায়ু দূষণ প্রবীণদের শুধু স্বাস্থ্যগত দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না; দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও রীতিমতো হিমশীম খাচ্ছেন তারা।’ জানান ঝাং।

গবেষণা প্রতিবেদনটি বলছে, ভারতে বায়ু দূষণের প্রভাব আরও ভয়াবহ। বায়ু দূষণজনিত কারণে দেশটিতে ২০১৫ সালেই মারা গেছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ।

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের ভারত প্রতিনিধি সুনিল দাহিয়া। তার মতে, বায়ু দূষণের মাত্রা ও উৎসের ক্ষেত্রে ভারত ও চীনের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে।

তিনি জানান, দেশভদে এর মাত্রা যাই হোক না কেন, স্বাস্থ্যের ওপর সমান প্রভাব ফেলতে পারে বায়ু দূষণ।