এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে ভূমি সেবা খাতে অনবদ্য অবদানের জন্য চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন ভূমি সেবা খাতে গত একবছরের কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ সেরা হিসেবে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সকল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলার আট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সকল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা ভুমি অফিসের তথ্য মতে, ২০১৭–১৮ অর্থবছরে ব্যক্তিখাতে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ আদায় হলেও সংস্থা খাত থেকে আদায় কম হয়েছে। ব্যক্তিখাতে ভূমি উন্নয়ন করের দাবি ছিল ১কোটি ১১লাখ ৭৮হাজার ৫৭০ টাকা। পুঞ্জিভূত কর আদায় হয়েছে সুদ আসলে ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ২২৩ টাকা। আদায়ের হার ১০১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

চকরিয়া উপজলো সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে চকরিয়া উপজেলার কর আদায়যোগ্য ব্যক্তি ও সংস্থাদের তালিকা করে ডিমান্ড নির্ধারণ করা হয়। বিদায়ী অর্থবছরে দাবিকৃত করের মধ্যে ব্যক্তিকর আদায়ে সাফল্য আসলেও বেশকটি সংস্থা কর আদায় না করায় এই সংস্থা থেকে আশানুরুপ কর আদায় করা সম্ভব হয়নি। ইতিপূর্বে শতকোটি টাকার বেশী বকেয়া কর বনবিভাগ ১৬-–১৭ অর্থবছরে আদায় করায় সংস্থাখাতে করের ডিমান্ড কমেছে।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানায়, বিদায়ী অর্থবছরে ব্যক্তিখাতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করেছে চিরিঙ্গা ভূমি অফিস ৫০ লাখ ১৪ হাজার ৯ শত টাকা, কাকারা ভূমি অফিস ১৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৪ টাকা। পূর্ব বড় ভেওলা ভূমি অফিস ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪০ টাকা ও হারবাং ভূমি অফিস ১৩ লাখ ৬ হাজার ৩১৯ টাকা। এই চারটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংস্থাখাত থেকে ডিমান্ডের তুলনায় অতিস্বল্প কর আদায় করেছে।

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার হিসেবে খোন্দকার ইফতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ আরাফাত যোগদানের পর উপজেলা ভূমি অফিসে জমি সংক্রান্ত সেবার মান বদলে যেতে শুরু হয় একবছর আগে থেকে। বিশেষ করে সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তিনি অনলাইন কার্যক্রম শুরু করার পর সরকারি পরিসেবায় ইতোমধ্যে এই কার্যক্রমটি বেশ সাড়া ফেলেছে। জমি সংক্রান্ত সকল কাজে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও তড়িৎ প্রদক্ষেপ। এতে উপহারভোগী জনসাধারণ সুফলও পেতে চলছে।

অফিসের সকল কাজে সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি চকরিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে চালু করেছেন সেবাপ্রার্থী মানুষের জন্য বিশ্রামগার। প্রতিদিন উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন জনপদ থেকে উপজেলা ভূমি অফিসে নানা সমস্যা নিয়ে আসেন জমি মালিক এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা। অফিসে বসার জায়গা সংকুলন না হওয়ায় সেবাপ্রার্থীরা আগে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতেন। বিষয়টি আমলে নেন সহকারি কমিশনার (ভুমি) খোন্দকার ইফতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ আরাফাত। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে তিনি পরার্মশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সাথে। এরপর তৈরী করেন উপজেলা ভূমি অফিসের সামনের উঠানে সেবাপ্রার্থীদের বসার জন্য একটি বিশ্রামগার। চকরিয়া উপজেলা ভুমি অফিসে যোগদানের মাত্র একবছরে ভূমি সেবা খাতে অসাধারণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হওয়ায় কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে অনবদ্য অবদানের জন্য চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে চকরিয়া চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত ভূমি সেবা খাতে অনবদ্য অবদানের জন্যকেক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে সরা নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ। শুভেচ্ছা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.জাহেদ চৌধুরী (দৈনিক পূর্বকোণ/আজকের কক্সবাজার) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক (দৈনিক ভোরের কাগজ/দৈনিক কক্সবাজার/চট্টগ্রাম মঞ্চ), কার্যকরী সভাপতি ছোটন কান্তি নাথ (দৈনিক কালের কন্ঠ/আজাদী), সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম হানিফ (প্রথম আলো),সহ-সভাপতি যথাক্রমে- রফিক আহমদ (নয়াদিগন্ত), জহিরুল ইসলাম (দৈনিক কর্ণফূলী/ চকরিয়া নিউজ ডটকম), এম.এইচ আরমান চৌধুরী (দৈনিক ইত্তেফাক), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-মুকুল কান্তি দাশ (দৈনিক আমাদেরসময়/আজকের দেশবিদেশ), মো.মঞ্জুর আলম (দৈনিক যায়যায়দিন), অর্থ-সম্পাদক এম. জিয়াবুল হক (দৈনিক সংবাদ/সুপ্রভাত বাংলাদেশ/বাঁকখালী), দপ্তর সম্পাদক-সাইফুল ইসলাম খোকন (দৈনিক বাংলাদেশের খবর/দৈনিক সৈকত), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- এম.মনছুর আলম (দৈনিক সাঙ্গু/সাগরদেশ), তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক-মোহাম্মদ উল্লাহ (দৈনিক আমার সংবাদ/ইনানী), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক- বাপ্পী শাহরিয়ার (দৈনিক জাগরণ/রুপসীগ্রাম), নির্বাহী সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক এম.আর মাহমুদ (সমকাল), নির্বাহী সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এ.এম ওমর আলী (দৈনিক দিনকাল/ রুপালী সৈকত), নির্বাহী সদস্য এ.কে এম ইকবাল ফারুক (দৈনিক পূর্বদেশ), নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ফারুক (বাংলাদেশ প্রতিদিন) প্রমুখ।