মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ছিনতাই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। গত রবিবার ক্যাশ কাউন্টার থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে দাবী করে পার্ক ইজারাদার। তবে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশ পার্কের টিকিট কাউন্টারে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তাদের জানা নাই বলে জানান।
স্থানীয় লোকজন বলেন ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কাউন্টারে ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা তারা শুনেননি। ইজারাদারের লোকজনের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বলে জানায় তারা। ঘটনার দিন রোববার দুপুর দু’টার দিকে কাউন্টারের লোকজন ২৪ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের কথা স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানায়। তবে ইজারাদার রামু উপজেলার বাসিন্দা মোঃ রফিক মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ছিনতাইকৃত টাকার পরিমাণ এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পাঁচশ টাকা বলে দাবী করে। এ রহস্যময় ঘটনায় বিভ্রান্তিতে রয়েছে সাধারণ লোকজন। সরকারি নির্দেশনা মতে প্রতি মঙ্গলবার সাফারি পার্ক বন্ধ থাকার নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম ভঙ্গ করে ইজারাদার গত ১৯ জুন কাউন্টার খোলে টিকেট বিক্রি করছিল। ওইদিন সাফারি কর্তৃপক্ষ থেকে গুলি বর্ষন ও ইজারাদারের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে এ ঘটনায় ইজারাদারের সাথে স্থানীয় উলুবনিয়া গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র সজিবসহ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করে পার্ক কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে ঘটনার পর মামলাটি পরিচালনায় আসামী সজিব গংদের কোনপ্রকার সহযোগিতা করছিল না ইজারাদার। এদিকে সাফারি পার্ক টিকেট কাউন্টার ইজারার মেয়াদ চলতি মাসের ৩১ তারিখ শেষ হচ্ছে। মামলা সংক্রান্ত কথা বলতে ঘটনারদিন রোববার ইজারাদার পক্ষের লোক সজিব গং তাদের সাথে দেখা করে। এসময় উভয়ের কথাবার্তার একপর্যায়ে বিতর্কের রূপ নেয়।
স্থানীয়দের অভিমত ইজারাদার নিজেদের মামলার বিষয়ে সহযোগিতার পরিবর্তে উল্টো ঘায়েল করতে এ অজুহাত সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে পার্কের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক সুনীল কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, পার্কের টিকিট কাউন্টারে এ ধরনের কিছু হয়ে থাকে, তাহলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেই ঘটতে পারে। এরপরও সংশ্লিষ্টদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। কিন্তু তারা অভিযোগও দিচ্ছে না।