এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তাদের পরিচিতি ও ঈদ পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠান শনিবার রাতে চকরিয়া শহরের অভিজাত রেস্তোরা ধানসিঁিড়র সম্মেলন কক্ষে চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সভাপতি লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ।

চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও প্রবীণ সাংবাদিক এমআর মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি ছোটন কান্তি নাথ, সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম হানিফ, নির্বাহী সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এএম ওমর আলী।

উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম উল্লাহ বাহাদুর, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিক আহমদ, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এম.এইচ আরমান চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-মুকুল কান্তি দাশ, মো.মঞ্জুর আলম, অর্থ-সম্পাদক এম. জিয়াবুল হক, দপ্তর সম্পাদক-সাইফুল ইসলাম খোকন , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- এম.মনছুর আলম, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক-মোহাম্মদ উল্লাহ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক- বাপ্পী শাহরিয়ার, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ফারুক ও বরইতলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আইয়ুব খান মিন্টু।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের মধ্যে যে কটি সম্ভাবনায় অঞ্চল বা উপজেলা আছে তার মধ্যে চকরিয়া উপজেলা একটি। আমাদের এই জনপদে আছে মানুষের জীবন জীবিকার অনেক গুলো উৎস। এখানে আছে লবণ চাষ, চিংড়ি জোন, ধান ও সবজি চাষ, পাহাড়ে আছে গাছ, পাথরসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ। সরকার ইচ্ছে করলে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা করতে পারে। কিন্তু সঠিক নেতৃত্ব ও সমন্বয়ের অভাবে সম্পদে ভরপুর দুইটি উপজেলা এখনো অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত। বর্তমান সরকার দুই উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে প্রতিবছর শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। সেই তুলনায় জনগন কী ধরণের সুফল পাচ্ছে তা সাংবাদিক সমাজকে লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, আমি প্রতিটি অনুষ্ঠানে বলি মাতামুহুরী নদী বাঁচলে চকরিয়া বাচঁবে, মাতামুহুরীকে বাঁচান, চকরিয়াবাসিকে রক্ষা করুন। কারণ মাতামুহুরী নদীর মিঠাপানির সেচ সুবিধার উপর নির্ভরশীল আমাদের কৃষক সমাজ। কিন্তু আমি বা আমাদের এই দাবি কেউ আমলে নিচ্ছেনা। উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে সকলের মতামত উপেক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা ছাড়াই ইচ্ছেমত চলছে মাতামুহুরী নদী শাসন সংরক্ষন কাজ। এভারে প্রতিবছর মাতামুহুরী নদী শাসন সংরক্ষন ও উন্নয়নের নামে সরকারি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। তাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হচ্ছে। এসবের জবাবদিহিতা থাকা দরকার।

কমরউদ্দিন আহমদ বলেছেন, উন্নয়নের মাধ্যমে পরিকল্পিত আধুনিক চকরিয়া বির্নিমানে সাংবাদিক সমাজকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সকল ধরণের নৈতিবাচক কাজের বিরুদ্ধে লেখনীর মাধ্যমে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করতে হবে। না হলে চকরিয়াবাসি অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি অনুষ্ঠানে চকরিয়া প্রেসক্লাবের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাবেন বলে ঘোষনা দেন। পরে তাঁর অনুরোধে চকরিয়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে লায়ন কমরউদ্দিন আহমদকে দাতা সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করার সিদ্বান্ত নেয়া হয়।