সংবাদদাতা:
রামুতে অভিনব পন্থায় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত নাম্বার বিহীন একটি সিএনজি ১১ দিন পর আটক করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ আগষ্ট) বিকালে চকমারকুল শাহ আহমদের পাড়া থেকে আটক করা হয়। এর আগে অভিযুক্ত সিএনজিটি চৌমুহনী স্টেশন থেকে যাত্রীবেশে কৌশলে বাড়ীতে নিয়ে যায় ভিকটিমেরা।
রবিবার দিবাগত রাত ১২ টায় এই রিপোর্ট লিখাকালে আটক সিএনজিটি (সাইমুন-ইসলাম-সিফাত-২) রামু থানায় রয়েছে। তবে, ছাড়িয়ে নিতে বিভিন্ন মহলের তদবির চলছিল বলে জানা যায়।
সিএনটি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবুল মনসুর।
তিনি বলেন, ছিনতাই কাজে ব্যবহারে অভিযোগে একটি সিএনজি আটক করা হয়েছে। মালিকানা ও অভিযোগ দু’টোই তদন্ত করা হচ্ছে। সঠিক ক্লু না পাওয়া পর্যন্ত সিএনজি ছাড়া হবেনা।
অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
ভিকটিম শাহ আহমদের পাড়ার প্রবাসী খোকন জানান, গত ১৫ আগষ্ট ওই সিএনজি করে তারা তিনজন কক্সবাজার যাচ্ছিল। শহরের পিটি স্কুল বাজারে পৌঁছে বিশেষ প্রয়োজনে সিএনজি থামিয়ে ওষুধের জন্য নামে। এই সুযোগে সিএনজিতে থাকা একজনকে ধাক্কা দিয়ে ব্যাগের সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণ ও নগদ দশ হাজার টাকাসহ পালিয়ে যায় চালক।
দীর্ঘদিন বিভিন্ন জায়গায় ওই সিএনজিটির সন্ধান নিতে গিয়ে অবশেষে রবিবার রামু চৌমুহনী ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যাত্রীবেশে সিএনজিটি বাড়ীতে নিয়ে যায় তারা।
পরে রামু থানা পুলিশে খবর দিলে রামু থানার এস.আই টুটুলের নেতৃত্বে ভিকটিমের বাড়ী থেকে সিএনজিটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে আটক সিএনজিটি ছাড়িয়ে নিতে ছিদ্দিক আহমদ প্রকাশ দালাল ছিদ্দিকসহ একটি চক্র তদবির করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে ভুক্তভোগিরা।