তানভিরুল মিরাজ রিপন :

যদি মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত,সংকট কমে আসে,সমাপ্ত হয়ে যায়।পুরো পৃথিবীর তাবেদারিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপের বদলে চীনের শক্তিমত্তার চর্চা হবে ঠিক যখন। তখনই পৃথিবীতে যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে চীন তার তাবেদারি ধরে রাখবে তা হলো রোহিঙ্গা সংকট। দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় সংকটের সৃষ্টি করবে চীন। তার ধারাবাহিকতাতে রোহিঙ্গা জাতিগত সংকট সমাধানের কোনো সুসংবাদ আপাততো নাই।রোহিঙ্গা সংকট স্থায়ীভাবে সমাধান হবে না।যার কারনে দক্ষিন-পূর্ব এশীয় রাজনীতির যে স্নায়ুযুদ্ধের শুরু হবে তাতে বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে তথা বন্দর-নগরী চট্টগ্রাম যেটি বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক দরজা,অভ্যন্তরীন ব্যবসার সবচেয়ে উর্বর ভূমি কক্সবাজারের ওপর প্রভাব ফেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে। তারই আগাম প্রস্তুতি স্বরুপ মহেশখালী দ্বীপের যে ভূমি অধিগ্রহন তা রাষ্ট্রের জন্য মোটেও শুভ কিছু বয়ে আনবে না। কারন এজেন্ডাদারী উন্নয়নের ধারা গুলোর জন্য অপরিপক্ব বাংলাদেশ কূটনীতিকদের কিংবা পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারকদের কোনো নির্দিষ্টি মিশন নাই। যা অন্যান্য জাতি রাষ্ট্রের থাকে।এতে অনুদান কেন্দ্রীক অর্থব্যবস্থার রাষ্ট্র ঠিকই চক্রাকারে কঠিন এক যাতাকলে পিষ্ট হবে যা বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বিপর্যয় এবং হুমকিসহ বাংলাদেশকে একটি দ্বারস্থ রাষ্ট্র হিশেবে পরিনত করবে।

ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের যে সংঘর্ষের রাজনীতিতে যে পরিমান গোলাবারুদের ব্যবহার হয়। মধ্যপ্রাচ্যকে যে পরিমান কোনঠাসা করে রেখেছে ঠিক একই পরিনিতি ঘটবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে। এতে চীন তার মেরিনড্রাইভ সিল্করোড এর যে বাসনা বাংলাদেশ সরকার সোনাদিয়া না তুলে দিয়ে কষ্ট দিয়েছে তারই প্রতিশোধ তো নিবেই।এই প্রতিশোধের অন্যতম প্রধান উপাদান হয়ে দাড়াবে বাংলাদেশের পাহাড়ি জাতিগোষ্টী এবং রোহিঙ্গাদের স্থায়ী আবাসন ভিত্তিক সংঘর্ষ।যে সংঘর্ষকে ঘিরে চীনের অর্থনীতির যে আগ্রাসন এখানে প্রতিফলিত হবে তা সামলানোর জন্য বাংলাদেশ মোটেও প্রস্তুত নয়।কারন এখানে সীমান্তবর্তী মানুষের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করবে স্ব-ভূখন্ডের মানুষ । যেখানে কোনো প্রকার ভারী অস্ত্রের ব্যবহার হবে না।সাম্প্রদায়িক দাঙাকে কেন্দ্র করে এখানকার অর্থনীতির রাজ হয়ে উঠবে চীন।এই ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকা হবে সৌদি আরবের মতো।দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বেশি বিপদজনক রাষ্ট্র হয়ে দাড়াবে পাকিস্তান এবং অর্থনৈতিক কূটকৌশলের বিপর্যয়ে ভারত যে সংকটের মুখোমুখি হবে তা সমাধানের দিকে তাদের এগুতে হবে।কারন ভারত আগে যেসব রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন রাজনীতি এবং সরকার গঠনের প্রভাব ফেলতে পারতো সেসব রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সবচেয়ে শক্তিমান উৎসগুলো চীনের কাছে নিরানব্বই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ। এতে ভারতের অবস্থা হবে নিজেদের প্রভিন্স কেন্দ্রীক সরকার গঠনকে বাঁচিয়ে রাখতে যে তুমুল অবস্থার সৃষ্টি তা সামাল দেওয়ার জন্য।এতে ভারত চাচা আপন প্রান বাঁচা এই ভূমিকার মধ্যেই থাকবে।

এই ক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশের করনীয় কি?
১)সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারাতে থেকে জনগনের সন্তুষ্টি অর্জন।
২)অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক দ্বন্দের সমাধান
৩) সুশাসন নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে জনগনের মৌলিক আকাঙ্খাপূরন
৪) শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির প্রতি জোর দেওয়া।
৫)উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক কূট-সম্পর্ক জোরদার করা।
৬) রাষ্ট্রের প্রতিনিধি নির্বাচনে জনগনকে সাহায্য করা।
৭)এজেন্ডা ভিত্তিক কৌশলীদের প্রতি নজর বাড়ানো।