আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা রাঙামাটি শহরের অলি-গলি ছেড়ে বর্তমানে আবাসিক হোটেলগুলোতেও চলছে। শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতে ইয়াবাসেবীদের নিয়মিত যাতায়াতে ইয়াবা ব্যবসা ও মাদক সেবনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে হয়ে উঠেছে কয়েকটি হোটেল। “স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ” এই সূত্রের আলোকে আবাসিক হোটেলগুলোর পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মচারি-বয় সকলেই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছে। ঘন্টা বেসিসে কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে ইয়াবা সেবন করার সুযোগ করে দিচ্ছে শহরের আবাসিক হোটেলগুলোর বেশ কয়েকটি।

বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে প্রতিনিয়তই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা হোটেল ব্যবসায়িরা। সরকারদল সমর্থক প্রভাবশালী একটি অংশ আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির নেতৃত্বে থাকায় তাদের প্রত্যক্ষ মদদেই অবাধে চলছে মাদক ও নারী ব্যবসা। এসব বিষয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে রাঙামাটি শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা।

শুক্রবার শহরের রিজার্ভ বাজারে এই ক্ষোভের সামান্য বর্হিপ্রকাশও ঘটিয়েছে সচেতন কয়েকজন যুবক। বাজারের আনিকা নামক আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে ইয়াবা বিক্রি ও সেবন করার সময় ডিবি পুলিশকে খবর দিয়ে নিয়ে এসে তাদেরই নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে খোরশেদ আলম, সাগর দে, এ দু’জনই হোটেল আনিকা’র বয় হিসেবে কর্মরত। সমীরণ চাকমা নামের অপর একজন দীঘিনালার থেকে ইয়াবা সেবনের জন্যে এসেছিলো। আটককৃতরে কাছ থেকে ১৪পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটও উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত হোটেল বয়দ্বয় জানায়, তারা চট্টগ্রাম থেকে পাইকারী দরে ইয়াবা কিনে এনে হোটেলে খুচরা দামে বিক্রি করে আসছে।

এদিকে, মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শহরের কাঁঠালতলী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি হাশেমের স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। শহরের আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৭পিছ ইয়াবাসহ শাহনাজকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যজিৎ বড়–য়া দু’টি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হোটেল থেকে আটককৃতদেরকে রাতে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ইয়াবাসহ শাহনাজের বিরুদ্ধে ১৯০০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধনী-৪) ১৯(১) এর টেবিল ৯(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।