আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গত ২২শে আগষ্ট বুধবার রাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া মিশন চাকমার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে জেলার বাঘাইছড়ি থানায় নিহতের ভাই চয়ন চাকমা বাদি হয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমির হোসেন। তিনি জানান, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর প্রধান প্রসিত খীসা ও দলটির বাঘাইছড়ি ইউনিটের পরিচালক চিক্কুধন চাকমাসহ ৩২জনের নামোল্লেখ করে নিহতের জেঠাতো ভাই চয়ন চাকমা বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ দন্ড বিধি ১৪৮/১৪৯/৩০২/৩৪ ধারায় বাঘাইছড়ির থানায় দায়েরকৃত মামলা নাম্বার হলো-৩/২৪/৮/২০১৮ইং।

এদিকে, এই হত্যা মামলার অন্যতম ২ নাম্বার আসামী ইউপিডিএফ এর বাঘাইছড়ি ইউনিটের পরিচালক চিক্কুধন চাকমা বলেছেন, এটা সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ২০১৩-১৪ সালে মিশন চাকমা ইউপিডিএফ’র অঙ্গ সংগঠন যুব ফোরামের সক্রিয় সদস্য ছিলো। এছাড়াও নিহতের ঘটনাস্থলসহ পুরো এলাকাটি ইউপিডিএফ এর নিয়ন্ত্রণাধীন। তাহলে মিশন চাকমা জেএসএস (এমএন) সমর্থক হয় কিভাবে?

উল্লেখ্য, গত ২২শে আগষ্ট বুধবার দিবাগত রাত ১০টার সময় নিজ বাসার কাছেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে মিশন চাকমা নামে এক চাকমা যুবককে খুন করেছে তারই স্বজাতীয় প্রতিপক্ষ আঞ্চলিক দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বাঘাইছড়ির বঙ্গলতলী এলাকার বড়ধন ফরেষ্ট অফিসের পার্শ্বে এই ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনার খবর পেয়ে বাঘাইহাট সেনাজোন ও বাঘাইছড়ির থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গিয়ে চারঘন্টা চেষ্ঠা চালিয়ে নিহতের লাশ সনাক্ত করে। এসময় নিহতের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসতে চাইলে স্থানীয় একটি পক্ষ লাশটি পুলিশকে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। দীর্ঘ ১৭ ঘন্টা চেষ্ঠা চালিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার সময় বাঘাইছড়ি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্যে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছিলো। সেখান থেকে লাশ শুক্রবার বিকেলে নিয়ে এসে পরিবারের সদস্যরা দাহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।