আলমগীর মানিক ,রাঙামাটি  :

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নেতা আল আমিন হোসেন শাকিলের বাড়ীতে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ যুবলীগের একদল সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আহত ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের পিতা রুহুল আমিন ও তার পরিবারে সদস্যরা।

শুক্রবার রাঙামাটি পৌর কলোনী এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে শাকিলের বাড়ীতে হামলা, মোটর সাইকেল ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ তোলেন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে আমার ভাই, আমার মা, বোন, ও প্রতিবন্ধী বোনের উপর হামলা চালাতে দ্বিধা করেনি সন্ত্রাসীরা। তারা ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী উল্লেখ করে বলেন, এই ধরনের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার দাবী করেন শাকিলের পিতা রুহুল আমিন। পরে সাংবাদিকদের তাদের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীঘর, মোটর সাইকেল ঘুরিয়ে দেখান শাকিলের পিতা রুহুল আমিন।

এদিকে ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে রাঙামাটি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার চাকমা সুপায়ন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাঙামাটি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন হোসেন শাকিলের দলীয় পদটি স্থগিত করেন। উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন ও সংগঠনের পরিপন্থি কার্যক্রম এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১৭ এর (খ) ধারা মোতাবেক শাকিলকে সকল প্রকার সাংগঠনিক কার্যক্রম ও পদবী সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, এই ধরনের স্থগিতাদেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই উপজেলা ছাত্রলীগের। জেলা ছাত্রলীগের অনুমোদন ব্যতিত এটা পারেনা। তারপরও পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় আমরা এটার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেইনি। কিন্তু অগনতান্ত্রিকভাবে সংগঠনের কোনো নেতা নিজের ইচ্ছেমতো প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশৃঙ্খলা হলে এটার দায়-দায়িত্ব সেই নেতাকেই বহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ই জুন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের উপরোক্ত ধারামতে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তারেক হোসেন মাহিম ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান শাওনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। এই সদস্যপদ বাতিল নিয়েও ওইসময়ে ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

নির্বাচন যখন ঘাড়ের উপর গরম নিশ্বাস ফেলছে ঠিক এই সময়েই আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর এই ধরণের অন্তর্কোন্দল আগামী নির্বাচনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলেই আশঙ্কা করছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।