মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়ায় ইয়াবাসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশে দিলেন জনতা। আটক ইয়াবা ব্যবসায়ী পরিতোষ দে (২৮) ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বারই পাড়া গ্রামের হৃদয় দে’র পুত্র। পরে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক মোঃ আলমগীর ফোর্স সহকারে এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় ডুলাহাজারা পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে আটকের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের মতে ব্যবসায়ী হৃদয়কে অল্পসংখ্যক ইয়াবাসহ আটক করা হলেও অধরা রয়ে গেছে মদক রাজ্যের গডফাদার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রংমহল এলাকার টুনু ফকিরের পুত্র মোঃ শাহ্ জাহান (৩৮), একই এলাকার নুরুল আলম মিস্ত্রির পুত্র কামাল উদ্দিন প্রকাশ বিন্ডি কামাল (২৬) ও ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মোক্তার আহমদের পুত্র রাশেল ড্রাইভার (২৮)। এসব ইয়াবা গডফাদারদের আটকে প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করেন সচেতন মহল।
পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের যুবলীগ নেতা মোঃ রাসেল, ফখরুল ইসলাম কোম্পানি, চাকরিজীবী আক্তার হোসেন ও সজল কান্তিসহ যুব সংঘটন ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশানের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে পরিতোষ দে এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনা করছে এবং নিজেও সেবন করছে। এমন খবর পেয়ে ঘটনারদিন তাকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়। এসময় পরিতোষ ও তার এক সহযোগী মোটা অংকের ইয়াবা পাচার করতে পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে প্রবেশ করার সময় পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু পরিতোষকে অল্প সংখ্য ইয়াবাসহ আটক করা হলেও তার সহযোগীকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ধারণা করা হচ্ছে এলাকায় কিছু মুখোশধারী যুবক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জাড়িয়ে পড়ছে। তাদের উপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিশেষ নজরদারি রয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম বলেন ইয়াবা কারবারি যেই হউক কিছুতেই রেহাই দেওয়া হবে না। আটক পরিতোষের গডফাদার শাহ্ জাহানকে ধরতে তার এলাকা রংমহলে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু সহযোগী আটকের খবর পেয়ে সে পালিয়ে গেছে।
চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আলমগীর ইয়াবাসহ যুবক আটকের বিষয়টি সত্যতা জানান। এনিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানায়।