সংবাদদাতাঃ
কক্সবাজার পৌরসভার বড় বাজারের মাছ বাজারে রাতের অাঁধার অবৈধভাবে গড়ে তুলা সেমিপাকা দোকান ঘর উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। এসময় নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, একটি দখলবাজচক্র রাতের আড়ালে পৌরসভার সম্পত্তি দখল করে সেখানে ইটের গাঁথুনি করছিলো। খবর পেয়ে পৌরমেয়র পুলিশ প্রশাসন সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মিতব্য গাঁথুনি ভেঙ্গে দেন। নির্মানের জন্য রাখা মালামাল সামগ্রী জব্দ করার নির্দেশ দেন।
সরকারের কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ যারা দখল করে স্থাপনা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র। এসব দখলবাজিতে পৌরসভার একজন কাউন্সিলর জড়িত বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
বড় বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতাকে জিজ্ঞেস করলে জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের মার্কেট করার অনুমতি দিয়েছে। লিখিত ডকুমেন্টও তাদের অাছে। তবে, ডকুমেন্ট কে দিয়েছে? জানতে চাইলে নাম বলেননি তিনি।
সংবাদকর্মী এইচএম নজরুল জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহরের চারিদিকে অনেক সরকারী সম্পদ বেদখল হয়ে আছে।পৌরপিতা মুজিবুর রহমান একটু সুনজর রাখলে সরকারের সম্পদ রক্ষা পাবে।
উদ্ধার করা সম্ভব হবে বড় বাজারের মতো রাতের আধারে লিজ দেওয়া সরকারী সম্পত্তি।
স্থানীয় ব্যবসাযীরা জানায়- বড়বাজার, মাছবাজার, তরকারী মার্কেট, পৌরসভা মার্কেট, হকার্স মার্কেট, বাস টার্মিনাল, পৌর সুপার মার্কেট, হকার্স মার্কেট সংলগ্ন গেজু মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটের দোকান আগের তারিখের স্ট্যাম্প দিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী, অসাধু ও দখলবাজরা নির্বাচনের আগে এবং পরে বরাদ্দ নিয়েছে। যাতে পৌরসভার কিছু কর্মকর্তা জড়িত।
অবিলম্বে দখলবাজদের মুখোশ উন্মোচনের আহবান পৌরবাসীর।

জানতে চাইলে পৌরমেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন পরবর্তী অনেক জমি দখল হওয়ার তথ্য আমার কাছে রয়েছে। আমি এলাকার জনগণের দাবীর সাথে একমত পোষন করে দখলকৃত পৌরসভার সব জায়গা, ফুটপাত, ড্রেন ও মার্কেটের দোকান উচ্ছেদ করবো।
তিনি বলেন, পৌরবাসীর সহযোগিতা আমার খুব প্রয়োজন। সাধারণ জনগন আমার সাথে থাকলে আমি কক্সবাজারকে একটি পরিচ্ছন্ন সুন্দর পৌর নগরী হিসেবে রূপান্তর করতে পারবো, আশা করি।
এদিকে রাতের অন্ধকারে পৌরপিতার সাহসী ভুমিকায় অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করায় সাধুবাদ জানিয়েছে পৌরবাসী।