আহসান উদ্দিনঃ
খুটাখালীতে শিল্পাঞ্চল হিসেবে লালগোলায় গোড়াপত্তন হয়েছিল দুই যুগ আগে দুটি লবন মিল স্থাপনের মাধ্যমে। সেই শিল্পাঞ্চলের নবজাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। যা হৃদয়ে শুলবিদ্ধ করে। কোন অদৃশ্য কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল? জানিনা।
প্রশ্ন রয়ে গেল, লালগোলার  শত কোটি টাকার বিদ্যুৎ সংযোগের সরঞ্জাম (খুঁটি, ট্রান্সফরমার, তার) কোথায় আজ? হাওয়া হয়ে গেছে এসব। সম্ভাবনার এলাকাটি আজ কঙ্কালসার। ক্ষতবিক্ষত দেহ বিনা অবশিষ্ট নেই কিছুই।
সময় পেলে বুক ভরে ফ্রেশ নিশ্বাস নেওয়ার জন্য লালগোলায় হাঁটতে যাই। সেদিন গিয়েছিলাম একটি ছায়াবৃক্ষ (কাঠ বাদাম) লাগানোর জন্য। দৃষ্টি আটকে যায় এই মৃত লবন মিলটির উপর। একটি মৃত প্রাণীর দেহ যেমন বিভিন্ন পশু-পাখি, পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলে ঠিক এভাবে এ কারখানায় হাড্ডি ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
নবজাতক দুটি বেঁচেগেলে হয়ত আজ শিশুকিশোর হয়ে যৌবনে পদার্পন করত ও  বংশ বৃদ্ধি পেত। খুটাখালী একটি শিল্পাঞ্চল হিসেবে জাতীয়ভাবে পরিচিতি পেত। এলাকার অবকাঠামোর উন্নয়ন হত। শিক্ষিত বেকার সমস্যা দুর হতো, বিনিয়োগ আসতো। খুটাখালীবাসীর ভাগ্যের উন্নয়ন হত। অর্থনৈতিকভাবে খুটাখালী একটি সমৃদ্ধশালী ইউনিয়ন হতো। জেলা আরো একটি শিল্পনগরী উপহার পেত। মৎস্যদস্যুদের উপদ্রপ বন্ধ হতো। একটি নিরাপদ মৎস্য অঞ্চল তৈরি হতো।
সরকারের সুদৃষ্টি ও  খুটাখালীবাসীর মধ্যে যারা বিত্তশালী ব্যবসায়ী আছেন তারা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে আমরা একটি শিল্পাঞ্চল উপহার দিতে পারব।
আহসান উদ্দিন
খুটাখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার।