শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার জেলাজুড়ে কোরবানির পশুর হাটে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পুরোদমে কেনাবেচা হয়েছে। আগামীকাল ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। তাই আজকেই কোরবানির পশু বেচাকেনার শেষ দিন। অনেক ক্রেতা এখনো পশু কিনেনি। তাদের আজকেই পশু কেনার শেষদিন। সাথে বিক্রেতারও। তবে কোথাও কোথাও কোরবানির দিনও সকালেও পশু বেচাকেনা হতে পারে। এদিকে গতকাল সোমবার থেকে গরুর দাম বেড়ে গেছে।

জেলা প্রশাসন সূতে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার আট উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫৩ টি কোরবানি পশুর বাজারে কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে। প্রায় বাজারে পুরোদুমে কেনাবেচা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত অধিকাংশ ক্রেতারা পশু ক্রয় করে ফেলছে। এদিকে দরদামে মিলাতে না পারায় অনেকে আজকের শেষ দিনেই নিজের কোরবানির পশুটি কিনবেন। তবে শেষ দিকে এসে গরুর দাম বেড়েছে। বিরূপপূর্ণ আবহাওয়া কারণে মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি করতে না পারায় সংকট তৈরি হয়। এতে দাম বেড়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট খরুলিয়া বাজার, টেকনাফ পৌর পশুর বাজার, টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলের মাঠের কোরবানির পশুর বাজার, ইলিশিয়া পশুর বাজার, চকরিয়া গরুর বাজার, ঈদগাঁও কোরনানি পশুর বাজারে তুলনামূলকভাবে ভাাে বেচাবিক্রি হয়েছে। এসব বাজারে পাইকারী হারেও বিক্রি হচ্ছে গরু। এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার একমাত্র কোরবানির পশুর বাজার খুরুশ্কুল রাস্তার মাথার বাজারটিও তিন ধরে বেশ জমে উঠে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এবার জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার। প্রায় ২ হাজার ১৪ জন খামারী বাজারে কোরবানি পশু তুলেছে। এবার পশু সংকট পড়ার কোন আশঙ্কা না থাকলেও শেষ মুহূর্তে কিছুটা সংকট পড়ার কথা জানা গেছে। এতে শেষ দিকে দাম বাড়তি রয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে মিয়ানামার থেকে পশু গরু আমদানি করতে না পারায় এই সংকট হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহিদুর রহমান বলেন, ‘পশুর বাজার গুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে পশু বেচা-কেনা করছেন। পাশপাশি জাল নোট শনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জানা যায়নি।’