ধর্ম ডেস্ক:
কোরবানি আত্মত্যাগের অন্যতম ইবাদত। এ ইবাদত জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত পালন করা যায়। সে হিসেবে এবার বাংলাদেশে বুধবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পালন করা যাবে। উল্লেখিত ৩ দিনের মধ্যে যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকবে তার ওপর কোরবানি করা আবশ্যক।

আর এ নিসাব হলো- সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সমপরিমাণ অর্থ অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা কিংবা তার সমপরিমাণ অর্থ থাকা।

সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কোরবানি না দেয়; সে ব্যক্তির ব্যাপারে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠোর হুশিয়ারি ঘোষণা করেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার সামর্থ্য আছে তবুও সে কোরবানি করল না (অর্থাৎ কোরবানি করার সংকল্প তার নেই) সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম)

আরও পড়ুন > কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে কুরবানি আবশ্যক?

সুতরাং ওয়াজিব তরক করা অনেক বড় গোনাহ। সম্পদশালী ব্যক্তি যদি এ হুকুম অমান্য করে তার বড় গোনাহ হবে।

তাছাড়া প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরবানি করা থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে অভিসম্পাত করে বলেন যে, সে যেন ঈদগাহে না আসে।

সুতরাং সম্পদশালী ব্যক্তির উচিত আল্লাহর জন্য কোরবানি আদায়ের মাধ্যমে ওয়াজিব কাজ যথাযথ পালন করা। গোনাহ থেকে নিজেকে হেফাজত করা।

মনে রাখা জরুরি
যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব সে ব্যক্তি কোরবানি দিলে অবশ্যই অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবে। যেমন হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কোরবানি দেয় সে কোরবানিকৃত পশুর গায়ের পশম পরিমাণ সাওয়াব পাবে। এ ছাড়াও কোরবানি দেয়ার আরও অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে পাকে।

পক্ষান্তরে যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়, কিন্তু সে ব্যক্তিও কষ্ট করে কোরবানির ব্যবস্থা করে, তাহলে সে নফল ইবাদত হিসেবে অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবে।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বান্দা যত বেশি নফল ইবাদত করতে থাকে আমি তত বেশি তাকে ভালোবাসতে থাকি। ভালোবাসতে বাসতে এক সময় আমি তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শুনে, আমি তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে, আমি তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলে।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। কোরবানির ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।